Poverty Rate Drops in India

এক দশকে ভারতে দরিদ্রের সংখ্যা কমেছে ২৭ কোটি! বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্টে মোদী সরকারের প্রশংসা

২০১১-১২ সালে যেখানে চরম দারিদ্রের হার ছিল ২৭.১ শতাংশ, তা ২০২২-২৩ সালে কমে ৫.৩ শতাংশ হয়েছে। অথচ, করোনা পর্বে ভারতে দারিদ্রসীমার নীচে অন্তত ৫.৬ কোটি মানুষ নতুন করে চলে গিয়েছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২৫ ১৪:৫৭
Share:

করোনা অতিমারির অভিঘাত কাটিয়ে দারিদ্র দূরীকরণে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে ভারত। বিশ্বব্যাঙ্কের সাম্প্রতিক রিপোর্ট জানাচ্ছে, সামগ্রিক ভাবেও গত এক দশকে ভারতে ‘চরম দারিদ্র’ উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে। ২০১১-১২ সালে যেখানে চরম দারিদ্রের হার ছিল ২৭.১ শতাংশ, ২০২২-২৩ সালে তা কমে ৫.৩ শতাংশ হয়েছে।

Advertisement

বিশ্বব্যাঙ্কের তথ্য বলছে, ওই এক দশকে প্রায় ২৭ কোটি (আদতে ২৬ কোটি ৯০ লক্ষের কিছু বেশি) মানুষকে চরম দারিদ্র থেকে মুক্ত করেছে ভারত। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নিরিখে এটি ‘উল্লেখযোগ্য সাফল্য’ বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। ঘটনাচক্রে, ২০২০ সালের করোনা পর্বে ভারতে অন্তত ৫.৬ কোটি মানুষ নতুন করে দারিদ্রসীমার নীচে চলে গিয়েছিলেন বলে ২০২২ সালে বিশ্বব্যাঙ্কের ‘পভার্টি অ্যান্ড শেয়ার্ড প্রসপারিটি’ শীর্ষক রিপোর্টে বলা হয়েছিল।

সাম্প্রতিক রিপোর্টে স্পষ্ট, অতিমারি পর্বের সেই ধাক্কা সামলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জমানায় অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে দারিদ্র দূরীকরণ কর্মসূচি। ২০১১-১২ সালে ভারতে ‘চরম দরিদ্র’ জনসংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ৩৪ কোটি। ২০২২-২৩ সালে তা নেমে এসেছে সাড়ে সাত কোটিতে। এমনকি ওই রিপোর্ট জানাচ্ছে, ২০১১-২৩ সালের মধ্যে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দারিদ্রও ৫৭.৭ শতাংশ থেকে কমে ২৩.৯ শতাংশে এ দাঁড়িয়েছে। বিশ্বব্যাঙ্ক দারিদ্রের সংজ্ঞা নির্ধারণের ক্ষেত্রে আগে দৈনিক ২.১৫ ডলার (প্রায় ১৮৪ টাকা) খরচের ক্ষমতাসীমা মেনে চলত। ২০২১ সালে তা বাড়িয়ে ৩ ডলার (প্রায় ২৫৭ টাকা) করা হয়। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তার পরেও ভারতে কমেছে দরিদ্রের সংখ্যা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement