পাক গোয়েন্দাদের কাজে লাগিয়ে, স্থানীয় যুবকদের হাত করে, অরুণাচল সীমান্তের খবর জোগাড় করছে চিন! অসমের শদিয়া থেকে নির্মল রাই নামে এক নেপালি যুবককে গ্রেফতার করে এমনই ধারণা ভারতীয় সেনা বাহিনীর কর্তাদের। গত দু’মাস ধরে চিন সীমান্তে থাকা গুরুত্বপূর্ণ সেনা ঘাঁটি, অস্ত্রসজ্জা নিয়ে দুবাইয়ে পাক গোয়েন্দাদের খবর ও ছবি পাঠাচ্ছিল ওই পোর্টার। সেনা গোয়েন্দাদের সন্দেহ হওয়ায় তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তার মোবাইল থেকে এই তথ্য জানা গিয়েছে বলে পুলিশের দাবি।
অরুণাচলের ডিজিপি এসবিকে সিংহ জানান, ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে অরুণাচল-চিন সীমান্তের কিবিথু ও ডিচু পোস্টে পোর্টারের কাজ করছিল ওই নেপালি যুবক। নির্মল ২০১৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত দুবাইয়ের একটি দোকানে কাজ করত। সেখানেই তার সঙ্গে আলাপ হয় এক পাক নাগরিকের। তাকে মোবাইলে ছবি ও ভিডিয়ো তোলার প্রশিক্ষণ দিয়ে ওই ব্যক্তি অরুণাচলে পাঠায়। সীমান্ত এলাকায় যেখানে গাড়ি চলার রাস্তা নেই, সেখানে স্থানীয় যুবকদের পোর্টারের কাজে নিয়োগ করে সেনা। নির্মলও সেই কাজে যোগ দেয়। গোয়েন্দারা জানান, সীমান্তে সেনার বিভিন্ন ঘাঁটি, ভারি অস্ত্র মোতায়েন করার স্থান, সমরসজ্জার ব্যাপারে সে নিয়মিত খোঁজ নিত। মোবাইলে ছবি ও ভিডিয়ো তুলত। নীচে নেমে সেই ছবি ও ভিডিয়ো দুবাইয়ে ওই পাক নাগরিক ও ইন্দোনেশিয়ার এক মহিলাকে পাঠাত।
তার মোবাইলটি বাজেয়াপ্ত করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। দেখা গিয়েছে, সীমান্তে সেনা ও ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে, সেনা ছাউনি কোথায়—সেই সব ছবি ও ভিডিয়ো সে বিদেশে পাঠিয়েছে। সেনার সন্দেহ, দুবাইয়ে থাকা ওই পাক নাগরিক আইএসআই এজেন্ট। সম্ভবত তার মাধ্যমেই চিন নিয়ন্ত্রণরেখার এ পারের খবর সংগ্রহ করছিল। অরুণাচল পুলিশ তাকে হায়ুলিয়াংয়ে নিয়ে এসেছে।