হাওয়ালার মাধ্যমে উপসাগরীয় নানা দেশ থেকে বিপুল টাকা আসছে দেশের উত্তর অংশে। আর তাতেই জঙ্গি দলে যোগ দেওয়ার প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে কাশ্মীরি তরুণদের মধ্যে। সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছেন ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর প্রাক্তন প্রধান অমরজিৎ সিংহ দুলাত। একই মত দেশের একটা বড় অংশের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদেরও।
বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের একাধিক পথসভায় সম্প্রতি কাশ্মীরে পাক পতাকার পাশাপাশি উড়তে দেখা গিয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কালো পতাকাও। প্রশাসনিক মহলে এ নিয়ে এত দিন চোরাগোপ্তা আলোচনা হলেও, দুলাতের সাম্প্রতিক এই দাবি ঘিরে কিছুটা হলেও নড়ে বসেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ভূস্বর্গের কোথায় এবং কী ভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে জঙ্গিরা— আপাতত সে দিকেই নজর রাজ্য পুলিশের।
পুলিশের দাবি, রাজ্যের উত্তর এবং দক্ষিণে পাল্লা দিয়েই বাড়ছে জঙ্গি উপদ্রব। দক্ষিণ কাশ্মীরের ত্রাল, বাটাপোরা, পঞ্জগাঁও এবং ইয়ারিপোরায় মূলত হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গিদেরই আধিপত্য। উত্তরের পালহালান থেকে সোপোরে আবার হিজবুলের দোসর জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠী। আর এদের শীর্ষ নেতৃত্বে মূলত কাশ্মীরি তরুণরাই।
কিন্তু তরুণদের মধ্যে জঙ্গিযোগের এই প্রবণতা কেন বাড়ছে কাশ্মীরে? পুলিশ সূত্রের খবর, চলতি বছরে মার্চ থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ কাশ্মীরের শুধু অবন্তীপোরা উপত্যকা থেকেই নিখোঁজ প্রায় ৫০ জন তরুণ। এরা প্রত্যেকেই অতি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা। দুলাতের দাবি, উপসাগরীয় নানা দেশ থেকে আসা কাঁচা টাকার লোভই এদের ভুল পথে চালিত করছে।