সব কিছুর জন্য দায়ী ছিল তার শারীরিক গঠন। একে তো বেঁটে, তার উপর একটা চোখ অন্যটির চেয়ে ছোট। তাই বিয়ের প্রস্তাবে মুখের উপর সটান না করে দিয়েছিল পাত্রী। সেটাই মেনে নিতে পারেনি নয়াদিল্লির বালিমারনের বাসিন্দা মহম্মদ খালিদ। বদলা নিতে ১৫০০ মহিলাকে ফোন এবং মেসেজ করে অশ্লীল কথা বলতে শুরু করে। অবশেষে এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, চাঁদনিচক এলাকায় খালিদের পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে। তার কাছ থেকে তিনটি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। সিম কার্ড পেতে প্রতি ক্ষেত্রেই নকল পরিচয়পত্র ব্যবহার করেছিল খালিদ। তার মোবাইলে সব মিলিয়ে ২০০০ মহিলার নম্বর রয়েছে। তার মধ্যে ১৫০০ জনকে নিয়ম করে সে ফোন বা মেসেজের মাধ্যমে অশ্লীল কথা বলত। বছরখানেক ধরে এটাই তার একমাত্র কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
আরও পড়ুন: ‘সরু’ চোরেদের কেরামতি দেখে হতভম্ব দুঁদে পুলিশও
সম্প্রতি দিল্লির অশোক বিহার থানায় তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরতা এক মহিলা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এর পরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। তার নম্বর ট্রাক করে পাকড়াও করা হয় খালিদকে। কেন এরকম করতে শুরু করে সে? জিজ্ঞাসাবাদে খালিদ জানায়, বেঁটে এবং চোখের সমস্যা থাকায় ছোটবেলা থেকেই অনেকের কাছে হাসির পাত্র ছিল সে। তার উপর কয়েক বছর আগে শারীরিক গঠনের জন্য তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন এক মহিলা। এমনকী খালিদ বারবার তাঁকে বিয়ের জন্য জোর করলে তিনি এই নিয়ে তাকে খারাপ কথাও শুনিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তার। তা মেনে নিতে পারেনি খালিদ। বদলা নিতেই অজানা মহিলাদের এই ভাবে ব্যতিব্যস্ত করে তুলত সে।