অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করতে অপারগ মেঘালয়

মেঘালয় সরকার জানিয়ে দিল তাদের পক্ষে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করা কার্যত অসম্ভব। অসমের মতো তাদের রাজ্যেও জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) মতো কোনও নথি তৈরি না-হওয়া পর্যন্ত এই কাজ করা সম্ভব নয়। মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমার দাবি, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করার কাজ সহজ নয়। এ বিষয়ে তিনি স্থানীয় গ্রাম পরিষদের সাহায্য চেয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৪ ০৩:৩১
Share:

মেঘালয় সরকার জানিয়ে দিল তাদের পক্ষে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করা কার্যত অসম্ভব। অসমের মতো তাদের রাজ্যেও জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) মতো কোনও নথি তৈরি না-হওয়া পর্যন্ত এই কাজ করা সম্ভব নয়। মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমার দাবি, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করার কাজ সহজ নয়। এ বিষয়ে তিনি স্থানীয় গ্রাম পরিষদের সাহায্য চেয়েছেন।

Advertisement

নির্বাচনী ইস্তাহারে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত পাঠানো হবে। নরেন্দ্র মোদীর সরকার এখন জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব থেকেই ওই কাজ শুরু করা হবে। অসমে ইতিমধ্যেই অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি তৈরি হচ্ছে। তার ভিত্তিতে ১৯৭১ সালের পরে কারা বাংলাদেশ থেকে অসমে এসেছেন তা চিহ্নিত করা হবে।

মেঘালয়েও অনুপ্রবেশ সমস্যা রয়েছে। অনুপ্রবেশকারীদের সরাতে সেখানেও আন্দোলন চলছে। রি-ভয় জেলার আমজংয়ের বাসিন্দারা বাংলাদেশি বলে সন্দেহ হওয়ায় প্রশাসন তাঁদের নাম ভোটার তালিকায় তোলেনি। এর বিরুদ্ধে আমজংয়ের ৪০ জন বাসিন্দা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলায় শিলং হাইকোর্টের বিচারপতি সুদীপরঞ্জন সেন সম্প্রতি রায় দিয়েছেন, পরবর্তী নির্বাচনের আগে আমজং গ্রামের বাসিন্দাদের নাম ভোটার তালিকায় তুলতে হবে। ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের আগে মেঘালয়ে আসা বাংলাদেশিরা রাজ্যে থাকতে পারবেন। তবে তার পরে আসা বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হবে।

Advertisement

মেঘালয়ের বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডন কুপার রয়, বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমার কাছে ১৯৭১ সালের আগে আসা বাংলাদেশির সংখ্যা জানতে চান। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এ বিষয়ে আপাতত রাজ্যের হাতে কোনও তথ্য নেই। কোনও সমীক্ষাও হয়নি। তবে ১৯৭২-এর পর থেকে এ রাজ্যে ৫ হাজার ৭৩৫ জন বাংলাদেশিকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। কিন্তু, তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে কি না, তা জানাননি মুখ্যমন্ত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন