তিহাড় জেলে তাঁকে আটক রাখা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করলেন সহারা কর্তা সুব্রত রায়। বুধবার শীর্ষ আদালতে তাঁর আইনজীবীর করা আর্জি অনুযায়ী, সুব্রতবাবুকে আটক রাখার নির্দেশ বেআইনি ও অসাংবিধানিক। অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হোক। এ দিন অবশ্য আবেদন বিশদে শোনেনি সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার তা শুনবে বলে জানিয়েছে।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের দুই সদস্যের বেঞ্চের সামনে সওয়াল শুরু করেন সহারার আইনজীবী রাম জেঠমালানি। তিনি বলেন, “এটা বলতে একটু অপ্রস্তুতই লাগছে যে, আপনাদের রায় সংশোধন করা জরুরি। অনুমতি পেলে, বিশদে বলতে পারি।” এ কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই বেঞ্চের এক বিচারপতি পাল্টা বলেন, “কাল আবেদন শোনার পরেই না-হয় বলব যে, আমরা সত্যিই অপ্রস্তুত কি না।” সহারার আবেদন অনুযায়ী, যে দুই সংস্থা টাকা না-ফেরানোয় সুব্রতবাবুকে জেলে রাখা হয়েছে, তার কোনওটিরই তিনি ডিরেক্টর বা প্রধান শেয়ারহোল্ডার ছিলেন না। তবে এ সব শোনার পরে আদালত কী বলে, তা বোঝা যাবে বৃহস্পতিবারই।
এ দিকে, লন্ডন ও নিউ ইয়র্কে সহারার হাতে যে-তিনটি নামী হোটেল রয়েছে, তা কেনার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছে অনেক গোষ্ঠী। কিন্তু তা বিক্রি করার সম্ভাবনা এ দিন পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে সহারা। অনেকে মনে করছেন, ভাল দাম পেলে হয়তো তারা ওই সব সম্পত্তি বেচতে রাজি, কিন্তু কেনার জন্য যে দরের প্রস্তাব এসেছে তা অনেকখানি কম হওয়ায় সেই সম্ভাবনা নেই। তাঁদের মতে, টাকা জোগাড় করতে সহারা পাকে পড়েছে ধরে নিয়েই ওই সমস্ত প্রস্তাব পাঠাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা।