অম্বুবাচী মেলার প্রস্তুতি কামাখ্যায়

সময় বাকি সপ্তাহ দেড়েক। কামাখ্যার সব চেয়ে বড় উত্‌সব ‘অম্বুবাচী’র প্রস্তুতিতে তাই এখন তুমুল ব্যস্ত অসম পর্যটন দফতর। এ বার ২২ জুন বন্ধ হবে মন্দির। খুলবে চার দিন পর। ওই সময়ই শুরু হবে অম্বুবাচী মেলা। পর্যটন দফতরের আশা, এ বছরের মেলায় ৫-৬ লক্ষ মানুষ আসবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৪ ০৩:৩৭
Share:

সময় বাকি সপ্তাহ দেড়েক। কামাখ্যার সব চেয়ে বড় উত্‌সব ‘অম্বুবাচী’র প্রস্তুতিতে তাই এখন তুমুল ব্যস্ত অসম পর্যটন দফতর।

Advertisement

এ বার ২২ জুন বন্ধ হবে মন্দির। খুলবে চার দিন পর। ওই সময়ই শুরু হবে অম্বুবাচী মেলা। পর্যটন দফতরের আশা, এ বছরের মেলায় ৫-৬ লক্ষ মানুষ আসবেন। ইতিমধ্যেই গেরুয়া, লাল, কালো বস্ত্রে সজ্জিত সাধু-সন্ন্যাসীরা রওনা হচ্ছেন মন্দিরের পথে। গত বছর থেকে পর্যটন দফতর কামাখ্যায় সাধু-সন্তদের বসবাস বন্ধ করেছে। যত্রতত্র প্রাকৃতিক কাজ রুখতেও নজরদারি চলছে।

খাবার বিতরণের ব্যবস্থা হয়েছে পাহাড়ের নীচে।

Advertisement

পর্যটন দফতরের উপ-অধিকর্তা সমীর তাঁতি জানান, এত দিন পর্যন্ত কামাখ্যার মাঠ, তারা মন্দির, সৌভাগ্য কুণ্ড, দশনামি আখড়া, কৌটি লিঙ্গ, নমথ কালী মন্দির, কামাখ্যা হাই স্কুলের সামনে সন্ন্যাসীদের থাকার ব্যবস্থা করা হত। এ বছর কামাখ্যা স্টেশনের বাইরে সোনারাম স্কুলের মাঠ ও পুরনো পাণ্ডু স্টেশন চত্বরে সন্ন্যাসীদের আখড়া ও ভক্তদের আস্তানা তৈরি করা হয়েছে। লঙ্গরখানা খুলছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। বিনামূল্যে মিলবে চিকিত্‌সা।

তাঁতি বলেন, “রাজ্যে ধর্মীয় পর্যটনের প্রসারে সরকার ৪ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল দিয়েছে। কামাখ্যার জন্য ব্যয় হবে ওই বরাদ্দের প্রায় অর্ধেক।” তিনি জানান, গত বার তাঁরা কোচবিহারের মধুপুর সত্রে শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের ৪৪৫-তম তিরোধান উত্‌সব পালন করেছেন। ডিব্রুগড়ে তাই শিল্পী ও পর্যটকদের নিয়ে ‘রয়্যাল ক্যাথিনা’, পোয়া মক্কার উর্‌স, বরপেটা-বরদোয়ার দোলোত্‌সবও সফল। এ বার বুদ্ধ পূর্নিমায় অসমের বিভিন্ন বৌদ্ধ মঠে উত্‌সব পালনের পরিকল্পনাও দফতরের রয়েছে।

অন্য দিকে, মার্কিন প্রবাসী অসমিয়া ইঞ্জিনিয়র ভবানী শর্মা এবং তাঁর সংস্থা ‘ক্লিয়ারউইন টেকনোলজিস’ কামাখ্যা মন্দির এবং অসমের তীর্থস্থল নিয়ে একটি নতুন মোবাইল প্রযুক্তি তৈরি করেছেন। তার মাধ্যমে ভক্ত ও পর্যটকেরা কামাখ্যা ও অসমের অন্যান্য মন্দিরের উত্‌সব সম্পর্কে টাটকা তথ্য পেতে থাকবেন। কামাখ্যা মন্দির নিয়ে একটি ওয়েবসাইটও তৈরি হয়েছে। ইন্টারনেটে মাধ্যমে মন্দির তহবিলে দানের ব্যবস্থাও থাকছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন