পশ্চিম এশিয়ায় সক্রিয় জঙ্গি সংগঠন আইএস নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ল দিল্লির। ওই সংগঠনের টুইটার অ্যাকাউন্ট বেঙ্গালুরুর এক বাসিন্দা নিয়ন্ত্রণ করত বলে দাবি করল একটি ব্রিটিশ চ্যানেল। ওই টুইটার হ্যান্ডেলের মাধ্যমে আইএসের প্রচারের কথা মেনে নিলেও ব্রিটিশ চ্যানেলটির দাবি পুরোপুরি মানতে রাজি নন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
বেঙ্গালুরুর ওই বাসিন্দাকে কেবল ‘মেহদি’ বলে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ চ্যানেলটি। ‘শামি উইটনেস’ নামে একটি টুইটার হ্যান্ডেলের মাধ্যমে সে প্রচার চালাত। তার টুইট প্রতি মাসে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ দেখতেন। টুইটারে ‘শামি উইটনেস’-এর ফলোয়ারের সংখ্যা ছিল ১৭ হাজারের বেশি। চ্যানেলটির দাবি, ‘মেহদি’ নামে ওই ব্যক্তিই ছিল সম্ভবত আইএসের অনলাইন প্রচারকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী। তারা মেহদির সঙ্গে যোগাযোগ করার পরেই সে ‘শামি উইটনেস’ টুইটার হ্যান্ডেলটি বন্ধ করে দেয় বলে জানিয়েছে চ্যানেলটি।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে ওই ব্যক্তিকে মেহদি মেহবুব বিশ্বাস হিসেবে শনাক্ত করেছেন গোয়েন্দারা। তবে এটি ছদ্মনামও হতে পারে। সে বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা নাও হতে পারে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। বেঙ্গালুরু পুলিশের অপরাধদমন শাখা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। বেঙ্গালুরু পুলিশের একাংশের মতে, মেহদি কোনও সময়ে ওই শহরে থেকে থাকলেও এখন সে পালিয়েছে বলেই মনে হয়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, আরও তথ্য পেতে টুইটার কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হবে।
আইএসের ভারতীয় যোগ নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই চিন্তিত গোয়েন্দারা। মহারাষ্ট্র থেকে বেশ কিছু যুবক পশ্চিম এশিয়ায় আইএসে যোগ দিয়েছিল। তাদের মধ্যে আরিফ মাজিদ নামে এক জন সম্প্রতি দেশে ফিরেছে। তুরস্ক থেকে সে দেশে ফেরানোর আর্জি জানিয়ে নিজের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তার পরে ভারতীয় গোয়েন্দারা তুরস্কের সাহায্যে তাকে দেশে ফেরান। কিন্তু সে কোনও ছক মাথায় নিয়েও দেশে ফিরে থাকতে পারে বলেও মনে করছেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, আরিফ জেরায় ‘শামি উইটনেস’ টুইটার হ্যান্ডলটির কথা জানিয়েছে। সে ওই টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত তথ্যে প্রভাবিত হয়েছিল বলেও দাবি করেছে ওই আইএস জঙ্গি। ফলে, ‘শামি উইটনেস’ নিয়ে আরও তথ্য পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।