আঠাশ মাসেও কাজ শেষ হল না করিমগঞ্জের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে

সরকারের আশ্বাসই সার। ১৮ মাসের কাজ শেষ হল না ২৮ মাসেও! ‘বরাক ভ্যালি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ’-এ পঠনপাঠন কবে শুরু হবে তা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে গোটা উপত্যকায়। অসম সরকারের আশা, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই পূর্ত বিভাগ ওই কাজ শেষ করে ফেলবে। তার পরই শুরু হবে শিক্ষক-অশিক্ষক পদে নিযুক্তি প্রক্রিয়া।

Advertisement

উত্তম সাহা

শিলচর শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৫ ০৪:১০
Share:

করিমগঞ্জে নির্মীয়মাণ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। ছবি: মহতাবুর রহমান।

সরকারের আশ্বাসই সার। ১৮ মাসের কাজ শেষ হল না ২৮ মাসেও!

Advertisement

‘বরাক ভ্যালি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ’-এ পঠনপাঠন কবে শুরু হবে তা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে গোটা উপত্যকায়। অসম সরকারের আশা, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই পূর্ত বিভাগ ওই কাজ শেষ করে ফেলবে। তার পরই শুরু হবে শিক্ষক-অশিক্ষক পদে নিযুক্তি প্রক্রিয়া।

২০১১ সালের ১ মার্চ বিধানসভা ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির কয়েক দিন আগে, করিমগঞ্জ জেলার মালুয়ায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। ভোটে জিতে ক্ষমতায় ফেরে কংগ্রেস। ফের রাজ্যের শাসনভার যায় গগৈয়ের হাতে। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নির্মাণকাজ তখনও শুরু হয়নি। ঠিকাদারকে ‘ওয়ার্ক অর্ডার’ দিতে দু’বছর সময় পেরিয়ে যায়। ২০১২ সালের ২৯ নভেম্বর কাজ শুরু করে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থা। ১৮ মাস সময় বেঁধে দেওয়া হয়। তার পর কেটে গিয়েছে ২৮ মাস। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী শরত বরকটকী এ বার জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই কাজ শেষ হবে। পূর্ত (দালান) বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭০ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ নির্ধারিত সময়েই শেষ হবে।

Advertisement

কবে থেকে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে বরাকের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে? স্পষ্ট উত্তর মেলেনি। গত কাল বিধানসভায় বদরপুরের কংগ্রেস বিধায়ক জামালউদ্দিন আহমেদের প্রশ্নে মন্ত্রী বরকটকী বলেন, “দালানবাড়ির নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হলে শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ করা হবে। তার পর শুরু হবে ভর্তি প্রক্রিয়া।” ২০১৩ সালের জুলাইয়ে বিধানসভায় একই কথা জানিয়েছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। কংগ্রেস বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থর প্রশ্নে হিমন্ত বলেছিলেন, “নির্মাণ কাজ চলছে। শেষ হলেই ‘অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন’-এর কাছে চিঠি পাঠানো হবে। অনুমোদন মিললেই শুরু হবে পঠনপাঠন।” গত কাল বাজেট বক্তৃতার সময় মুখ্যমন্ত্রী গগৈ ‘বরাক ভ্যালি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের’ কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, করিমগঞ্জের পাশাপাশি গোলাঘাট ও ধেমাজি জেলাতেও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ তৈরির কাজ চলছে। এই বছরই তা শেষ হবে। এ নিয়ে প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক মিশনরঞ্জন দাস বলেন, “কাজ শুরু করতেই অনেকটা সময় কেটে গিয়েছিল। এখন সব ঠিকঠাকই চলছে।”

কারিগরী শিক্ষার জন্য শিলচরে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি’ (এনআইটি) রয়েছে। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়েও বি-টেক, এম-টেক পড়ানো হয়। শিলচরে রয়েছে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। কিন্তু উপত্যকার অনেক পড়ুয়াকে এখনও বরাকের বাইরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হয়। করিমগঞ্জ জেলায় নতুন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ তৈরি হলে, সেই সমস্যা কিছুটা মিটবে বলে আশা বরাকবাসীর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন