ইউপিএসসি পরীক্ষা নিয়ে সমস্যা এক সপ্তাহের মধ্যে মিটিয়ে ফেলার আশ্বাস দিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ আজ জানান, ইউপিএসসি সমস্যার দ্রুত মীমাংসা করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিষয়টি খতিয়ে দেখে তিন সদস্যের কমিটি শীঘ্রই রিপোর্ট দেবে কেন্দ্রকে। এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা হবে।
এই পরীক্ষায় ‘গুগল ট্রান্সলেটর’ ব্যবহার করে ইংরেজি থেকে হিন্দি প্রশ্নপত্র তৈরি করা হচ্ছে। ওই সফটওয়্যারে কেবল আক্ষরিক অনুবাদ সম্ভব। তা-ও সব সময় তা যথাযথ হয় না। ফলে অর্থবিভ্রাট ঘটছে। হিন্দিতে যাঁরা পরীক্ষা দিচ্ছেন, অনেক সময়ই তাঁরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। এ ছাড়া ২০১১ সালে পরীক্ষার ‘প্রিলিমিনারি’ পর্বে ‘সিভিল সার্ভিসেস অ্যাপটিটিউড টেস্ট’-এর কাঠামো যে ভাবে বদলে দেওয়া হয়েছে তাতে ম্যানেজমেন্ট ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রদের সাফল্যের সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করেন পরীক্ষার্থীদের একাংশ।
হিন্দিভাষী ও কলা শাখার পড়ুয়াদের প্রতি বৈষম্যের এই অভিযোগ নিয়ে গত বেশ কয়েক দিন ধরে দিল্লিতে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েছে ইউপিএসসি। কংগ্রেস এই বিক্ষোভের হাওয়াকে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কাজে লাগাতে চায়। কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন তাই ইউপিএ আমলে শুরু হওয়া এই সমস্যা নিয়েই আন্দোলনে নামার কথা ভাবছে। কয়েক জন পরীক্ষার্থী এ দিন কংগ্রেস সহসভাপতি রাহুল গাঁধীর সঙ্গে দেখা করলে তিনি বলেন, “কোনও পরীক্ষার্থীর প্রতি অবিচার বা বৈষম্য বরদাস্ত করা হবে না।”
বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ সিংহ যাদবও। ওই রাজ্যের পরীক্ষার্থীদের বড় অংশই হিন্দিভাষী। তাই পরীক্ষার কাঠামো পরিবর্তন ও সফটওয়্যারের বিষয়টি বিবেচনার আর্জি জানান অখিলেশ।