কংগ্রেস বিধায়কদের মত জেনে ফিরলেন খড়গে

নেতৃত্ব বদল নিয়ে অসমের মন্ত্রী-নেতা-বিধায়কদের ব্যক্তিগত মতামত জেনে দিল্লি ফিরলেন এআইসিসি প্রতিনিধি মল্লিকার্জুন খড়গে এবং আশিস কুলকার্নি। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে তাঁরা এ নিয়ে রিপোর্ট জমা দেবেন। এমনই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ মেনে নিলেন, দলে তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। অসম কংগ্রেসে মুখ্যমন্ত্রী বদল নিয়ে বিবাদ মেটানোর পথ খুঁজতে খড়গেকে গুয়াহাটিতে পাঠানো হয়েছিল। গগৈ-পন্থী এবং তাঁর বিরোধী শিবিরের কাজিয়ায় রাজ্যে প্রশাসনিক কাজকর্ম কার্যত বন্ধ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৪ ০২:৫৩
Share:

নেতৃত্ব বদল নিয়ে অসমের মন্ত্রী-নেতা-বিধায়কদের ব্যক্তিগত মতামত জেনে দিল্লি ফিরলেন এআইসিসি প্রতিনিধি মল্লিকার্জুন খড়গে এবং আশিস কুলকার্নি। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে তাঁরা এ নিয়ে রিপোর্ট জমা দেবেন। এমনই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ মেনে নিলেন, দলে তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।

Advertisement

অসম কংগ্রেসে মুখ্যমন্ত্রী বদল নিয়ে বিবাদ মেটানোর পথ খুঁজতে খড়গেকে গুয়াহাটিতে পাঠানো হয়েছিল। গগৈ-পন্থী এবং তাঁর বিরোধী শিবিরের কাজিয়ায় রাজ্যে প্রশাসনিক কাজকর্ম কার্যত বন্ধ। দলীয় সূত্রের খবর, এআইসিসি প্রতিনিধিদের রিপোর্ট পর্যালোচনা করে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সনিয়া গাঁধী। রাজ্যের বিধায়ক অঞ্জন দত্ত ৩০ জুনের মধ্যে ওই সিদ্ধান্ত জানানোর দাবি তুলেছেন।

আজ সকালে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভুবনেশ্বর কলিতা, মুখ্যমন্ত্রী গগৈ ও বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার সঙ্গে ঘণ্টা খানেক বৈঠক করেন খড়গে। পরে গগৈ বলেন, “এআইসিসি নেতারা সকলের সঙ্গে কথা বলেছেন। দলে মতানৈক্য রয়েছে। অনেকে নেতৃত্ব বদলের কথাও বলেছেন। হাইকম্যান্ড চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।”

Advertisement

প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রের খবর, হিমন্ত-পন্থী বিধায়করা খড়গের সঙ্গে দেখা করলেও, গগৈ শিবিরের ৩ জনপ্রতিনিধি সেখানে ছিলেন না। বিধায়ক প্রণব গগৈ ফোনে তাঁর মত জানান। দলের কয়েক জন নেতা জানিয়েছেন, গগৈয়ের পক্ষে এখন মাত্র ১৫ জন বিধায়ক রয়েছেন। দিল্লি ফেরার আগে হিমন্তকে বিমানবন্দরে ডেকে পাঠান এআইসিসি-র দুই নেতা। হিমন্ত এবং তাঁর শিবিরের বিধায়ক রেকিবুদ্দিন আহমেদ ও প্রদান বরুয়া সেখানে যান। কাল হিমন্তকে দিল্লি যেতে বলা হয়েছে। এ নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করতে চাননি খড়গে। তিনি বলেন, “দু’দিনে রাজ্যের ৭১ জন বিধায়কের সঙ্গে কথা হয়েছে। তা ছাড়া দলীয় সাংসদ, প্রাক্তন সাংসদ, জেলা সভাপতি, মুখ্যমন্ত্রী, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গেও বৈঠক করেছি। হাইকম্যান্ডকে রিপোর্ট দেব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement