করিমগঞ্জ কলেজের ছাত্র সংসদ দখলের পরে এবিভিপি-র বিজয় মিছিল। মঙ্গলবার। ছবি: উত্তম মুহরী
কলেজ নির্বাচনে পরাজিত হল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই সমর্থিত প্রার্থীরা। জিতল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের তিন প্রার্থী। করিমগঞ্জ কলেজ ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সম্পাদক পদে জয়লাভ করে এবিভিপি প্রার্থীরা।
করিমগঞ্জ কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন ঘিরে এক সময় তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। জেলা কংগ্রেস, বিজেপির নেতারাও কলেজের বাইরে বক্তৃতা দিতেন। কলেজ চত্বর পোস্টার, ব্যানারে ভরে যেত। কিন্তু দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশের পর সে রকম প্রচার এখন হয় না। অসমে বিধানসভা নির্বাচনের আগে করিমগঞ্জ কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনেকটা বিধানসভা ভোটের মহড়া ছিল। এক দিকে বিজেপি, এবিভিপি ভোটে জিততে মরিয়া ছিল। এএসইউআই, কংগ্রেস এবং এআইইউডিএফ-ও প্রার্থী দাঁড় করিয়েছিল।
বিরোধী শিবির অভিযোগ তুলেছিল, উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক তথা পরিষদীয় সচিব কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি কলেজ নির্বাচনে ব্যবহার করেছেন। ওই গাড়িতে ভোটারদের নিয়ে আসা হয়েছিল। কলেজ সূত্রে খবর, ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি পদে অভিষেক কুরি ৪৭১ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে মৃণালকান্তি রায় ৫২১টি ভোট পেয়েছেন। সহকারী সাধারণ সম্পাদক পদে জিতেছেন উজ্জ্বল কুমার দেব। তিনি পেয়েছেন ৪৯৭টি ভোট। অসম প্রদেশ বিজেপির উপ-সভাপতি মিশনরঞ্জন দাস বলেন, ‘‘করিমগঞ্জ কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফলাফল দিয়েই বিজেপি জয়যাত্রা শুরু করল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘শাসক দলের বিধায়ক ছাত্র সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের জেতাতে অনেক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কেউ তাতে সাড়া দেননি।’’ নিজের গাড়ি ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কমলাক্ষবাবু। তিনি বলেন, ‘‘কলেজ নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেস কখনওই চিন্তা করেনি। এবিভিপি তিনটি আসনে জিতে এ সব ভুল কথা বলছে।’’