দুর্ঘটনার পরে। রবিবার। ছবি: পিটিআই
ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গ্যাস ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণ হয়। সেই সঙ্গে আগুন ধরে গিয়েছে তার পাশ দিয়ে যাওয়া পর পর ৭টি গাড়িতে। আশপাশেও ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। দিল্লি-জয়পুর জাতীয় সড়কের এই দুর্ঘটনায় পুড়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০ জনের। জখম ১২ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার রাতে জয়পুর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে বিলপুর গ্রামের কাছে দিল্লি-জয়পুর জাতীয় সড়কের উপর দুর্ঘটনাটি ঘটে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা গ্যাস ট্যাঙ্কারটিকে ধাক্কা মারে বাইক-বোঝাই একটি ট্রাক। ওই ট্যাঙ্কারটিতে দাহ্য বুটাডিন গ্যাস ছিল। বাইক বোঝাই ট্রাকটি সেটিকে ধাক্কা মারলে ওই গ্যাস লিক হয়ে আগুন ধরে যায়। ট্যাঙ্কারটিতে বিস্ফোরণ হলে সেটির থেকে আগুনের ফুলকি বেরিয়ে তার পাশ দিয়ে যাওয়া ৭টি গাড়িতেও আগুন ধরে যায়। নিমেষে পুড়ে ছাই হয়ে যায় দু’টি ট্যাঙ্কার ও একটি মারুতি গাড়ি-সহ ছ’টি ট্রাক।
এর পর দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই গ্যাসের ট্যাঙ্কারটি থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় একটি মন্দির ও একটি দোকানে। দুর্ঘটনার পরেই ওই ভয়াবহ আগুন নেভাতে পৌঁছে যায় দমকল বাহিনী। এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে সকালের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুর্ঘটনায় পুড়ে মৃত্যু হয়েছে এক শিশু-সহ ৯ জনের। এদের মধ্যে ছ’জনের দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন, শিখা চোপড়া, বিশাল বাজাজ, আলি শের, রাধামোহন, বিনোদ এবং রকশূল। বাকি ৪ জনের দেহ এমন ভাবে পুড়ে গিয়েছে যে শনাক্তই করা যায়নি তাঁদের। গুরুতর জখম অবস্থায় ১২ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ সূত্রে খবর, ট্যাঙ্কারটির চালক ও খালাসির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পাশাপাশি, ওই ট্রাকটি যে পরিবহণ সংস্থার, সেই সংস্থার বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। তবে ওই গ্যাস ট্যাঙ্কারটির চালক এবং খালাসি পলাতক বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।