অনুপ চেতিয়া অসমে ফিরছেন কিনা এই প্রশ্নই আজ ঘুরপাক খেয়েছে অসমে। না হলে ১৭ বছর পর কেন বাংলাদেশ থেকে অসমে ফিরলেন তাঁর স্ত্রী মণিকা, পুত্র বুমণি ও কন্যা বুলবুলি? গত কাল রাতে, ডিব্রুগড়ের জেরাইগাঁওয়ে চেতিয়ায় ফেরেন তাঁরা। আজ সকালেই তাঁরা পড়শি পরেশ বরুয়ার বাড়ি গিয়ে পরেশের মা, মিলিকি বরুয়ার সঙ্গে দেখা করেন।
পরেশ বরুয়া, অরবিন্দ রাজখোয়ার সঙ্গে আলফা গড়েন চেতিয়া। ১৯৯২ থেকেই তিনি ফেরার। ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে গ্রেফতার হন অনুপ। তখন ঢাকার শ্যামলীর একটি বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। অনুপ চেতিয়া ওরফে গোলাপ বরুয়ার বাংলাদেশের পরিচয় ছিল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অধিকর্তা জন ডেভিড সুলেমান। সাজার মেয়াদ শেষ হলেও বাংলাদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে সেখানকার জেলেই রয়ে গিয়েছেন তিনি। তাঁর স্ত্রী, পুত্র, কন্যাও এতদিন বাংলাদেশেই ছিলেন।
দু’বছর ধরে চেতিয়ার প্রত্যার্পণ নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। আলফার সভাপতি অরবিন্দ রাজখোয়াও কেন্দ্রের কাছে দাবি জানিয়েছেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেতিয়াকে ভারতে ফেরত এনে আলোচনায় বসাতে হবে। কিন্তু কেন্দ্র জানিয়েছিল, চেতিয়া ভারতে ফিরতে ইচ্ছুক নন।
হঠাৎ চেতিয়ার পরিবারের ঘরে ফেরা কেন? মণিকাদেবী বলেন, চেতিয়ার ফিরে আসার জন্য সকলকেই চেষ্টা চালাতে হবে। চেতিয়ার ছেলে, ২২ বছরের বুমণি স্নাতক স্তরের পড়া শেষ করেছে। মেয়ে ১৮ বছরের বুলবুলি ঢাকায় ডাক্তারি পড়ছে। মণিকার আদি বাড়ি শিবসাগর জেলার ডিমৌয়ে। ডিব্রুগড় পুলিশও বিষয়টি নিয়ে অন্ধকারে। এসপি রাণা ভুঁইঞা জানান, প্রয়োজনে চেতিয়ার পরিবারকে জেরা করা হবে। চাবুয়ার পুলিশ চেতিয়ার বাড়ি ঘুরে গিয়েছে। মণিকা দিন কয়েক আগেই বাপের বাড়ি এসেছিলেন।