নরেন্দ্র মোদীর জমানায় তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবিদাওয়াকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে আশাবাদী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুঙ্গ ও কামতাপুর পিপলস পার্টির সভাপতি অতুল রায়। এ দিন সংসদভবনের সেন্ট্রাল হলে এনডিএ-র অন্য নেতাদের সঙ্গে তাঁদেরকেও আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত দুই নেতার আশাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
দিল্লিতে এনডিএ-র সভায় যোগ দেওয়ার পরে গুরুঙ্গের আশা, নরেন্দ্র মোদী সরকার পৃথক গোর্খাল্যান্ডের জন্য যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ করবে। পাশাপাশি পাহাড়ের জিটিএ-র জন্য কেন্দ্রীয় সাহায্য বাড়ানোর দাবিও তুলেছেন গুরুঙ্গ। গোর্খাল্যান্ডের দাবি পূরণের জন্য বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়াকে দার্জিলিং কেন্দ্রে সমর্থন জানিয়েছিল মোর্চা। অহলুওয়ালিয়া জেতার পরে এ বার মোর্চা নেতারা চাইছেন, বিজেপি সরকার মোর্চার দাবি পূরণে কিছু পদক্ষেপ নিক। আজ সংসদের সেন্ট্রাল হলে বিজেপির সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লিতে এসে পৌঁছন মোর্চা সভাপতি গুরুঙ্গ। মোদীকে বিজেপির সংসদীয় দলের নেতা হিসেবে নির্বাচনের পর সেন্ট্রাল হলে এনডিএ-র শরিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। গুরুঙ্গকে নিয়ে এসে একেবারে সামনের সারিতে বসিয়ে দেন অহলুওয়ালিয়া। রাজনাথ সিংহ এনডিএ-র শরিক হিসেবে গুরুঙ্গের নাম ঘোষণার পরে তিনি মোদী, রাজনাথ, লালকৃষ্ণ আডবাণী, সুষমা স্বরাজ, অরুণ জেটলির মতে নেতাদের অভিনন্দন জানান।
অনুষ্ঠান শেষে গুরুঙ্গ জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আপত্তি করলেও কেন্দ্র চাইলে গোর্খাল্যান্ডের বিষয়ে এগোতে পারে। তেলঙ্গানার ক্ষেত্রে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার বা বিধানসভার অনুমোদন ছাড়াই পৃথক রাজ্য গঠন হয়েছে। মমতার সমালোচনা করে গুরুঙ্গ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বহুবার পাহাড়ে গিয়েছেন। কিন্তু বিভিন্ন জনজাতির মধ্যে তিনি বিভেদ তৈরি করতে চেয়েছেন। সুবিধাবাদী রাজনীতি করেছেন। সেই কারণেই বিজেপিকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” বিজেপির ইস্তাহারে প্রথমে দার্জিলিঙের বিষয়ে কোনও কথাই ছিল না। পরে গোর্খাদের প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টার কথা বলা হয়। আগামী বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপির সঙ্গে তাঁদের জোট থাকবে বলে গুরুঙ্গ জানিয়েছেন।