বিহারের সভায় মোদী, নীতীশকে বিঁধলেন রাহুল

ফের কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফিরলে কৃষকদের চিকিৎসার অধিকার সুনিশ্চিত করবে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারআজ এমনই আশ্বাস দিলেন রাহুল গাঁধী। একই সঙ্গে তিনি জানালেন, দেশের ১০ কোটি বেকার যুবক-যুবতীর চাকরির দিকে তাকিয়ে তৈরি করা হবে ‘ইন্ডাস্ট্রি করিডর’ও। দিল্লি থেকে মুম্বই এবং দিল্লি থেকে কলকাতা পর্যন্ত বিস্তৃত থাকবে করিডরগুলি। ওই করিডর পটনা হয়েও যাবে। যার সুফল পাবে বিহার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটনা ও রাঁচি শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:১৪
Share:

ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় কংগ্রেস প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারসভায় রাহুল গাঁধী। মঙ্গলবার। ছবি: পার্থ চক্রবর্তী।

ফের কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফিরলে কৃষকদের চিকিৎসার অধিকার সুনিশ্চিত করবে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারআজ এমনই আশ্বাস দিলেন রাহুল গাঁধী। একই সঙ্গে তিনি জানালেন, দেশের ১০ কোটি বেকার যুবক-যুবতীর চাকরির দিকে তাকিয়ে তৈরি করা হবে ‘ইন্ডাস্ট্রি করিডর’ও। দিল্লি থেকে মুম্বই এবং দিল্লি থেকে কলকাতা পর্যন্ত বিস্তৃত থাকবে করিডরগুলি। ওই করিডর পটনা হয়েও যাবে। যার সুফল পাবে বিহার।

Advertisement

আজ বিহারের ঔরঙ্গাবাদে নির্বাচনী জনসভায় এ সব প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি মূল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নরেন্দ্র মোদীকেও নিশানা করেন রাহুল। ফের জানান, গুজরাত মডেল কখনও দেশের অন্য রাজ্যগুলিতে প্রযোজ্য হতে পারে না।

কৃষকদের জন্য ইউপিএ সরকার কী করেছে, তা জানাতে গিয়ে রাহুল বলেন, “কৃষকদের জমির অধিকার দেওয়া হয়েছে। রোজগার দেওয়া হয়েছে। ব্যাঙ্ক ঋণের দরজাও খুলেছে তাঁদের সামনে।” তাঁর ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারেরও সমালোচনা করেন কংগ্রেসের সহ-সভাপতি। তাঁর মন্তব্য, “তিনি উন্নয়নের অনেক কথা বলছেন। কিন্তু বাস্তবে তার কিছুই হয়নি। সেচের অভাব রয়েছে। চাকরিও নেই।”

Advertisement

এর আগে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় জনসভা করেন রাহুল। সেখানেও তাঁর আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। অনুন্নয়ন ও দুর্নীতির প্রশ্নে কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলছেন মোদী। রাজ্যে রাজ্যে ঘুরে নিজেকে দেশের ‘চৌকিদার’ হিসেবে থাকতে চান বলে প্রচার করছেন। মোদীর ওই বক্তব্যের রেশ টেনে রাহুল বলেন, “আমরা দেশের জন্য মাত্র এক জন চৌকিদার চাই না। কোটি কোটি চৌকিদার চাই।”

গোড্ডার পরে গুমলায় আরও একটি সমাবেশে যোগ দেওয়ার কথা ছিল রাহুলের। কিন্তু হেলিকপ্টার বিভ্রাটে সেখানে পৌঁছতে পারেননি তিনি। কংগ্রেস প্রার্থী রামেশ্বর ওঁরাওয়ের সমর্থনে ওই জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। রাহুল সেখানে না-যাওয়ায় হতাশ হন দলের সদস্য-সমর্থকরা। রামেশ্বর জানান, এ ঘটনার প্রভাব কোনও ভাবেই ভোট-বাক্সে পড়বে না। তাঁর কথায়, “আজ উনি এখানে আসতে পারলেন না। চেষ্টা করব ভোটের আগে অন্তত এক বার তাঁকে গুমলায় নিয়ে আসার। তাতে দলের কর্মীরা অনেকটাই উজ্জীবিত হবেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন