ভরসা নেই বিচারে, খুন করাতে দল পুলিশেরই

আইনের ভরসা করতেন না খোদ ওই আইনরক্ষক! আদালতের অপেক্ষা না-করে তার চোখে ‘অপরাধী’দের নিজেই মৃত্যুদণ্ড দিতেন! পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি। তবে নিজের হাতে নয়, সে জন্য তিন যুবককে নিয়ে দল গড়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রাঁচি শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৪ ০৩:০২
Share:

আইনের ভরসা করতেন না খোদ ওই আইনরক্ষক!

Advertisement

আদালতের অপেক্ষা না-করে তার চোখে ‘অপরাধী’দের নিজেই মৃত্যুদণ্ড দিতেন! পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি। তবে নিজের হাতে নয়, সে জন্য তিন যুবককে নিয়ে দল গড়েছিলেন।

অনেকটা বলিউড, টলিউডের সিনেমার চিত্রনাট্যই এ বার বাস্তব জামশেদপুরে। কয়েক মাস ধরে ইস্পাতনগরীতে একের পর এক খুনের নেপথ্যে ওই পুলিশ কন্সস্টেবলের খোঁজ পেয়ে তাই তাজ্জব পুলিশের অনেক কর্তা। গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্তরা। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের পাশাপাশি তোলাবাজির অভিযোগও রয়েছে। পুলিশ জানায়, মূল অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর নাম অঞ্জনকুমার শুক্ল। তিনি জামশেদপুর পুলিশ লাইনে মোতায়েন ছিলেন। তদন্তকারীদের বক্তব্য, গত নভেম্বর থেকে শহরে আততায়ী হামলার ঘটনা ঘটছিল। প্রকাশ্য রাস্তায় কখনও টাটা মোটরসের আধিকারিক, কখনও রেঁস্তোরার মালিক, প্রাক্তন সেনা অফিসার খুন হন। জখম হন কয়েক জন। তা চলে এ বছর মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত।

Advertisement

পূর্ব সিংভূমের পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধী নেতা, সাধারণ মানুষ। জামশেদপুরের এসএসপি অমল বেনুকান্ত হোমকর আজ জানান, কানহাইয়া, মনীশ পাণ্ডে এবং মঙ্গল তিওয়ারি নামে তিন যুবককে নিয়ে দল তৈরি করেছিলেন শুক্ল। তাঁদের কারও নাম পুলিশের খাতায় ছিল না। দলটির ‘শার্প শুটার’ মনীশ টাটা মোটরসের কর্মী ছিল। পুলিশ সুপার জানান, বিপজ্জনক ভাবে গাড়ি চালিয়ে গত নভেম্বরে টাটা স্টিলের আধিকারিক বিপুল কুমারকে সেই কারণে গুলি করে খুন করা হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে মাসে মারা হয় টাটা মোটরসের আধিকারিক ব্রজেশ সহায়কে। শুক্লের দলের আততায়ীদের হামলায় মৃত্যু হয়েছে ললিত কুমার নামে প্রাক্তন এক সেনা অফিসারেরও। জেরায় জানা গিয়েছে, অবৈধ জমি লেনদেনের ব্যবসা ছিল ললিতের। রমেশ নামে এক রেস্তোঁরা মালিককেও তারা খুন করে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন