মেঘে মোড়া ওখরে, রিং চেং পং

রিং-চেং-পং-এর চার দিনে একটি বারের জন্যও দেখা মেলেনি কাঞ্চনজঙ্ঘার। কিন্তু কাল সকালেই নেমে যেতে হবে। সকাল থেকেই প্রবল বৃষ্টি। আকাশ একেবারে কালো। বজ্র-বিদ্যুতের সঙ্গে চলতে থাকে প্রবল বৃষ্টি। বিকেল তিনটে নাগাদ বৃষ্টি থেমে আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করে। কিছুক্ষণ পরই ঘন মেঘের চাদর সরে যায়। দেখা মেলে কাঞ্জনজঙ্ঘার। নীল আকাশ নয়। কাঞ্জনজঙ্ঘার পেছনেও এলোমেলো মেঘ। কাঞ্চনজঙ্ঘার এই রূপটি একেবারেই আলাদা। মাত্র ১৫-২০ মিনিটের জন্যই দেখা মেলে কাঞ্চনজঙ্ঘার। মে মাসের ওই দিনটি প্রথম দেখা গিয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা। দূর সিকিম ঘুরে এসে লিখছেন কাঞ্চন চক্রবর্তী।মে মাসের ২৮। কলকাতার তাপমাত্রা ৪০ পেরিয়েছে। আমরা আট জন কলকাতা স্টেশনে চেপে বসলাম গরিব রথে, গন্তব্যস্থল এন জে পি। গরম থেকে রেহাই পেতে পশ্চিম-সিকিমের পাহাড়ি গ্রামগুলিতে দিন কয়েক কাটানোর জন্য এ বারের সিকিম যাত্রা। পরদিন প্রায় ঘণ্টা দুয়েক দেরিতে গরিব রথ থামে এন জে পি স্টেশনে। বাইরে গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে রিং-চেং-পঙের ড্রাইভার বিনোদ। এখন সেবক রোডে সারা রাত গাড়ি চলে। ভোর রাতে বিনোদ গাড়ি নিয়ে চলে এসেছে এন জে পি স্টেশনে। এন জে পি স্টেশনের লাগোয়া দোকানে আলু পরোটা ও চা খেয়ে উঠে পড়ি বিনোদের গাড়িতে। মেঘলা আকাশ মাথায় নিয়ে গাড়ি ছুটে চলে সেবক রোড ধরে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৪ ০০:৪৫
Share:

মে মাসের ২৮। কলকাতার তাপমাত্রা ৪০ পেরিয়েছে। আমরা আট জন কলকাতা স্টেশনে চেপে বসলাম গরিব রথে, গন্তব্যস্থল এন জে পি। গরম থেকে রেহাই পেতে পশ্চিম-সিকিমের পাহাড়ি গ্রামগুলিতে দিন কয়েক কাটানোর জন্য এ বারের সিকিম যাত্রা।

Advertisement

পরদিন প্রায় ঘণ্টা দুয়েক দেরিতে গরিব রথ থামে এন জে পি স্টেশনে। বাইরে গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে রিং-চেং-পঙের ড্রাইভার বিনোদ। এখন সেবক রোডে সারা রাত গাড়ি চলে। ভোর রাতে বিনোদ গাড়ি নিয়ে চলে এসেছে এন জে পি স্টেশনে। এন জে পি স্টেশনের লাগোয়া দোকানে আলু পরোটা ও চা খেয়ে উঠে পড়ি বিনোদের গাড়িতে। মেঘলা আকাশ মাথায় নিয়ে গাড়ি ছুটে চলে সেবক রোড ধরে।

মেলি বাজারের সেতু পেরিয়ে গাড়ি এ বার সিকিমে। এখানেও বেশ গরম দিনের বেলাতে। রাস্তার অবস্থা সুবিধের নয়। রাস্তা চওড়া করার কাজ চলছে। গাড়ির গতি বেশ ধীরে। প্রায় আড়াইটে নাগাদ এসে পৌঁছাই জোরথাং। ছোট পাহাড়ি উপত্যকায় এই শহরটি। নদীর ওপারেই দার্জিলিং। পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের সীমানায় একটি বাণিজ্য কেন্দ্র জোরথাং পেরিয়ে গাড়ি উঠতে থাকে উপরের দিকে। যত উপরে উঠছি গরমের অনুভূতি কমে আসছে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি। আকাশ কোনও সময় কালো কিংবা সাদা মেঘে ভরা। দু’পাশে সবুজ নাম না জানা গাছের সারি। এ ভাবেই প্রায় ঘণ্টা দুয়েক যাত্রার পর গাড়ি এসে থামে সোমবাড়িয়ায়।

Advertisement

ছোট পাহাড়ি জনপদ। দোকানপাট রয়েছে বেশ। সব কিছু পাওয়া যায় সোমবাড়িয়ায়। কিছুক্ষণের বিরতি এখানে। রাস্তার পাশেই দোকানে মেলে চপ, শিঙাড়া এবং মোমো। সিকিমের এই চপ কিংবা শিঙাড়ার স্বাদ একটু ভিন্ন। স্বাদে একটা রকমফের রয়েছে। প্রায় মিনিট চল্লিশের বিরতির পর গাড়ি ওপরে উঠতে শুরু করে। মেঘের চাদর সরে গিয়ে আকাশ বেশ পরিষ্কার। রোদেরও দেখা মেলে। সিকিমের ছোট ছোট গ্রাম পেরিয়ে ছুটে চলে বোলেরো। প্রায় পাঁচটা নাগাদ গাড়ি থামে ওখরে ‘হোম স্টে’, একটি সবুজ দোতলা বাড়ির সামনে। রাস্তার পাশে প্রায় বিঘা খানেক জমির ওপরে সাজানো গোছানো দোতলা বাড়ি। এই হোম স্টে চালায় এক সিকিমিজ মহিলা, ‘লাকি’। মাঝবয়সি লাকির আতিথেয়তা মনে রাখার মতো।

প্রায় ৮,০০০ ফুট উচ্চতায় বাড়ির এক তলায় চারটি ঘরে আমরা ৮ জন। ঘরের লাগোয়া বাথরুমে রয়েছে গিজার। ব্যবস্থায় কোনও ত্রুটি নেই। তবে ১২ থেকে ১৪ জন অনায়াসে থাকতে পারে এই চারটি ঘরে। সঙ্গে রয়েছে বসার ঘর ও ডাইনিং রুম। বাইরে এসে দাঁড়ালে দেখা যায় সান্দাকফুর উঁচু পাহাড় এবং নীচে ধোতরে ও রিম্বিক। একটি নদী সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গকে আলাদা করে দিয়েছে এখানে।

ধীরে ধীরে সন্ধ্যা নেমে আসে ওখরেতে। তাপমাত্রা প্রায় ১০ ডিগ্রি। গায়ে জড়িয়ে নিতে হয় গরম জামা। প্রায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কলকাতার ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা থেকে ১০ ডিগ্রিতে, আমরা ৮ জন মজে যাই আড্ডায়। সঙ্গে চা ও পকোরা। এই হোম স্টের খরচ জনপ্রতি থাকা ও খাওয়া ৯০০ টাকা। তবে ভরা মরশুমে এই দর ওঠা নামা করে। ভাড়ার গাড়িরও।

ভোর ৫টাতেই হাল্কা রোদ এসে পড়ে কাঁচের জানলায়। পর্দা সরিয়ে দেখা যায় আকাশ পরিষ্কার। বেরিয়ে আসি বাইরে। ওখরের সূর্যোদয়ের সুখ্যাতি রয়েছে, তুলনা করা চলে টাইগার হিলের সূর্যোদয়ের সঙ্গে। হোম স্টে-র পিছনের রাস্তা ধরে খানিকটা উপরে উঠে আসি। কিন্তু মেঘের জন্য সূর্যোদয়ের পরিপূর্ণ রূপ অধরাই থেকে যায়। সাত-সকালেই পায়ে হেঁটে দেখি স্থানীয় মনাস্ট্রি। হোম স্টের থেকে ১০ মিনিটের হাঁটা পথে নীচেই রয়েছে ওখরের বাজার। হাতে গোনা কয়েকটি হোটেল। গরমে কিংবা অন্যান্য সময়ে বাঙালি পর্যটকরা বেড়াতে আসছেন ওখরেতে। বাজারেই পরিচয় হয় স্থানীয় যুবক ও প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক নীরেন সুব্বার সঙ্গে। নীরেন দেখায় রাস্তার পাশেই ওর নিজের হোটেল, ‘হোটেল গুরাস’-এর কাজ প্রায় শেষের মুখে। এ বছর পুজোর সময়ই চালু হয়ে যাবে নীরেনের হোটেল। ইতিমধ্যে তৈরিও করে ফেলেছে হোটেলের ওয়েবসাইট।

ব্রেকফাস্টের পর গাড়ি পাহাড়ি রাস্তা ধরে উঠতে শুরু করে। গন্তব্যস্থল ৯,০০০ ফুট উচ্চতায় হিলে। খাড়াই রাস্তা, ঘন ঘন বাঁক। রাস্তার দু’পাশে বড় বড় গাছের সারি। বেশ কয়েকটি ছোট ও বড় গ্রাম পেরিয়ে প্রায় ঘণ্টা খানেক পর ১৬ কিমি দূরে পৌঁছে যাই হিলেতে। পিচের রাস্তা থেকে পায়ে হাঁটা পথ উঠে গিয়েছে ওপরে। নজরে আসে ভার্সে স্যানচুয়ারি-র প্রবেশ দ্বার। আকাশ পরিষ্কার থাকলে হিলে থেকে দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা কিন্তু মে মাসের শেষ সপ্তাহে সিকিমে হিলের মতো জায়গায় পরিষ্কার আকাশের আশা করাটাই বৃথা।

স্যাংচুয়ারির প্রবেশ দ্বারে দাঁড়িয়েই উপভোগ করি মেঘের খেলা। কখনও ঘন মেঘ ঢেকে দিচ্ছে গোটা হিলেকে আবার কিছুক্ষণ পরে সেই মেঘ উধাও। এই হিলেতে থাকার জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি হোটেল ও হোম স্টে-র ব্যবস্থা। থাকা ও খাওয়ার খরচ জনপ্রতি ৮০০ টাকা কিংবা তার বেশি। আর হিলে থেকে ৪ কিমি ট্রেক করে চলে যাওয়া যায় ১০,০০০ ফুট উচ্চতায় ভার্সের জঙ্গলে। ভার্সেতে থাকার জন্য রয়েছে দুটি ট্রেকার্স হাট।

মার্চ-এপ্রিলে নানা রঙের রডোডেনড্রন ফুলে ভরে যায় হিলে ও ভার্সে। রডোডেনড্রন ফুলের মেলা দেখার জন্য ছুটে আসেন পর্যটকরা। রডোডেনড্রন ফুলের জন্যই বিখ্যাত এই হিলে ও ভার্সে। ভার্সে থেকে ট্রেক করে ফালুট হয়ে সান্দাকফু। অন্য দিকে সিকিমের সিঙ্গালিলা গিরিশিরায় চিওয়াভঞ্জন পাস।

প্রায় ১ কিমি হেঁটে যাই ভার্সের পথে। ঘন মেঘ আকাশ থেকে নেমে এসেছে এই জঙ্গলে। রাস্তার দু’পাশে ছোট বড় বাঁশগাছের সারি। দেখা যায় বিভিন্ন রঙের রডোডেনড্রন। তবে এ বছর হিলে কিংবা ভার্সেতে তেমন রডোডেনড্রনের দেখা মেলেনি। তাই ‘উদ্ধত যত শাখার শিখরে রডোডেনড্রনগুচ্ছ’ বলা যাবে না! প্রায় ঘণ্টা দুয়েক হিলেতে কাটিয়ে ফিরে আসি ওখরেতে।

দুপুরের আহার সেরে উঠে বসি গাড়িতে। গন্তব্যস্থল ৪৯ কিমি দূরে পশ্চিম সিকিমের আর একটি পর্যটন কেন্দ্র রিং-চেং-পং। পর্যটন মানচিত্রে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই পাহাড়ি গ্রামটি। পরিষ্কার আকাশে কাঞ্জনজঙ্ঘাই রিং-চেং-পঙের প্রধান আকর্ষণ। একটা কথা বলে রাখি, সমতলের কোনও মাছ পাওয়া যাবে না এই জায়গায়। মাটনও না। ডিম অথবা দেশি মুরগি মিলবে।

সোমবাড়িয়া হয়ে সোরেন। তার পর ফালুক। ফালুক থেকেই ৪ কিমি দূরে রিং-চেং-পং। প্রায় ৫টা নাগাদ পৌঁছে যাই রিং-চেং-পঙে। পাহাড়ের মাথায় প্রায় ৫,৫০০ ফুট উচ্চতায় একটি বর্ধিষ্ণু গ্রামই বলা চলে রিং-চেং-পংকে। রয়েছে হাতে গোনা কয়েকটি হোটেল, ছোট একটি বাজার, কিছু দোকানপাট। বাজারে পাওয়া যায় প্রয়োজনীয় সব কিছুই। চোখে পড়ে সাইবার ক্যাফেও।

গাড়ি এসে দাঁড়ায় হোটেলের সামনে। রিং-চেং-পঙের একেবারে শেষ প্রান্তে রাস্তার পাশেই এই হোটেলটি চালায় কলকাতার শোভাবাজারের দেবানু বসুমল্লিক ওরফে গোগো ও তার সহধর্মিণী। গোটা রিং-চেং-পঙেই এই গোগোর পরিচিতি যথেষ্ট। কয়েক বছর ধরে শোভাবাজারের এই দম্পতির স্থায়ী ঠিকানা রিং-চেং-পং। আর ওঁদের একমাত্র ছেলে পড়াশোনা করে স্থানীয় ডনবস্কো স্কুলে।

সন্ধ্যা নেমে আসে রিং-চেং-পং-এ। হোটেলের বারান্দা থেকে দেখা যায় ও-পারের পাহাড়ের গেজিং। গেজিং-এর আলোগুলো ঝলমলে নয়। গোটা রিং-চেং-পং-ই মেঘে ঢাকা। বৃষ্টি পড়ছে কখনও টিপ টিপ করে বা কখনও জোরে। চারটি রাত কাটানোর পরিকল্পনা নিয়েই রিং-চেং-পং-এ আসা। কলকাতার গরম থেকে রেহাই পেতে অনেকেই চলে এসেছেন পশ্চিম সিকিমের এই পাহাড়ি গ্রামটিতে।

পর দিন আকাশ একটু পরিষ্কার। রোদের দেখাও মিলেছে। ব্রেকফাস্ট সেরে গাড়িতে চলে আসি ‘আজিম ফামে’, গাড়িতে মাত্র ৪০ মিনিটের পথ। গাড়ির রাস্তা থেকে কংক্রিটের বাঁধানো রাস্তা ধরে নেমে যেতে হয় প্রায় ৫০০ ফুট। চারটি সিকিমিজ পরিবার নিজেদের উদ্যোগেই তৈরি করেছেন এই কৃষি খামারটি। আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ হয় আনারস, কমলালেবু, বিভিন্ন ফল ও মধুর। আর এই সব ফল থেকেই তৈরি করা হয় হরেক রকমের ওয়াইন। যার দাম আয়ত্তের মধ্যেই। পাহাড়ের ঢালে পাথুরে জমিতে আধুনিক পদ্ধতিতে এই ধরনের ফলের চাষ সত্যি দেখবার মতো। ফলের রসও মিলবে। একদম টাটকা।

এই ফার্মে কাজ করে ওই গ্রামেরই পুরুষ ও মহিলারা। ফার্ম ঘুরিয়ে দেখায় বছর পঁচিশের যুবতী পাসাং কিট লেপচা। পাসাঙের বাবাই আজিম প্রায় বছর দশেক আগে এই খামারটি তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এই ১০ বছরে পাহাড়ের ঢালে খামারটির আয়তন অনেকটাই বড় হয়েছে। সাজানো গোছানো এই খামারটিতে বিভিন্ন ধরনের সবজিরও চাষ হয়। ব্যবহার করা হয় জৈব সার। পাসাং জানান, ওই খামারে তৈরি করা ওয়াইনের চাহিদা যথেষ্ট ভাল। বিক্রি হয় গ্যাংটক ও সিকিমের অন্যান্য শহরে। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক আজিম ফার্মে কাটিয়ে ফিরে আসি হোটেলে।

বিকেলেই আবার মেঘলা আকাশ। চারি দিকে সবুজ পাহাড়গুলিতে মেঘের খেলা দেখতে দেখতে সময় কেটে যায়। রিং-চেং-পং বাজারে রাস্তার পাশেই রয়েছে কংক্রিটের বেঞ্চ। পর্যটকদের মিলনস্থল এই বাজারটি। ছোট কয়েকটি খাবারের দোকানে বিকেল হতেই ভিড় জমায় পর্যটকরা। ধোঁয়া ওঠা গরম মোমো। নানা রকম নুডুলস। এবং খাঁটি চা।

বাজার থেকেই একটি রাস্তা উঠে গিয়েছে রিং-চেং-পং মনাস্ট্রির দিকে। প্রায় আধ ঘণ্টা খাড়াই পিচের রাস্তা ধরে হেঁটে যেতে হয়। দু’পাশে বড় বড় গাছ। নির্জন এই রাস্তা ধরে হেঁটে যাওয়ার মজাটাই আলাদা। রিং-চেং-পং-এর মনাস্ট্রিটি সিকিমের তৃতীয় প্রাচীনতম। তৈরি হয়েছিল ১৭১১ সালে। বুদ্ধদেবের মূর্তির বিশেষত্ব একটাই। বুদ্ধের চোখ দুটি খোলা। এই ধরনের বুদ্ধদেবের মূর্তি অন্য কোনও মনাস্ট্রিতে দেখা যায় না। এমনটি জানালেন মনাস্ট্রির পুরোহিত।

রিং-চেং-পং-এর চার দিনে একটি বারের জন্যও দেখা মেলেনি কাঞ্চনজঙ্ঘার। কিন্তু কাল সকালেই নেমে যেতে হবে। সকাল থেকেই প্রবল বৃষ্টি। আকাশ একেবারে কালো। বজ্র-বিদ্যুতের সঙ্গে চলতে থাকে প্রবল বৃষ্টি। বিকেল তিনটে নাগাদ বৃষ্টি থেমে আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করে। কিছুক্ষণ পরই ঘন মেঘের চাদর সরে যায়। দেখা মেলে কাঞ্জনজঙ্ঘার। নীল আকাশ নয়। কাঞ্জনজঙ্ঘার পেছনেও এলোমেলো মেঘ। কাঞ্চনজঙ্ঘার এই রূপটি একেবারেই আলাদা। মাত্র ১৫-২০ মিনিটের জন্যই দেখা মেলে কাঞ্চনজঙ্ঘার। মে মাসের ওই দিনটি প্রথম দেখা গিয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা। যে আশায় রিং-চেং-পং-এ যাওয়া তার কিছুটা প্রাপ্তি ঘটে এই যাত্রায়। পর দিন প্রবল বৃষ্টি মাথায় নিয়ে রিং-চেং-পং থেকে নেমে এন জে পি স্টেশনে। দুপুরের হাওড়া এন জে পি ধরে কলকাতায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন