মোদীর মীরা-নিন্দার জবাব দিলেন সনিয়া

লোকসভার স্পিকার মীরা কুমারকে বিরুদ্ধে নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনার জবাব দিলেন সনিয়া গাঁধী। মোদীর কায়দায় ‘হাতিয়ার’ করলেন মীরাদেবীর বাবা, বাবু জগজীবন রামকেই। আজ বিহারের সাসারামের সভায় একই সঙ্গে বিজেপি-কেও বিঁধলেন কংগ্রেস সভানেত্রী। দু’দিন আগে সাসারামেই নির্বাচনী সভায় স্থানীয় সাংসদ মীরা কুমারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন মোদী। তারই জবাবে সনিয়া বলেন, “বাবু জগজীবন রাম চিরকাল পিছিয়ে থাকা মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তাঁদের জন্য লড়াই চালিয়েছেন। তাঁর মেয়ে সেই অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে চান।”

Advertisement

স্বপন সরকার

শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৪ ০৪:০৫
Share:

লোকসভার স্পিকার মীরা কুমারকে বিরুদ্ধে নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনার জবাব দিলেন সনিয়া গাঁধী। মোদীর কায়দায় ‘হাতিয়ার’ করলেন মীরাদেবীর বাবা, বাবু জগজীবন রামকেই।

Advertisement

আজ বিহারের সাসারামের সভায় একই সঙ্গে বিজেপি-কেও বিঁধলেন কংগ্রেস সভানেত্রী। দু’দিন আগে সাসারামেই নির্বাচনী সভায় স্থানীয় সাংসদ মীরা কুমারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন মোদী। তারই জবাবে সনিয়া বলেন, “বাবু জগজীবন রাম চিরকাল পিছিয়ে থাকা মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তাঁদের জন্য লড়াই চালিয়েছেন। তাঁর মেয়ে সেই অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে চান।”

উল্লেখ্য, মীরার সমালোচনা করে মোদী বলেছিলেন আপনাদের জনপ্রতিনিধি বড় কাজে ব্যস্ত থাকেন। তা-ই এলাকার উন্নয়নের দিকে তাকানোর সময় পান না।

Advertisement

নাম না-করেই মোদীর দাবি উড়িয়ে সনিয়া বলেন, “সাসারাম থেকে নির্বাচিত এক জন মহিলা দেশে প্রথম বার লোকসভার স্পিকার হয়েছেন। স্থানীয় কৃষকদের উন্নয়নেও তিনি সমান তৎপর।” বিজেপিকে আক্রমণ করে কংগ্রেস সভানেত্রীর মন্তব্য, “ওরা বড় বড় কথা বলছে। ক্ষমতার জন্য বিজেপি সব কিছু করতে পারে। গণতন্ত্রকেও হাতের মুঠিতে রাখতে চায়।”

তাঁর ভাষণে ওঠে গুজরাত প্রসঙ্গও। কংগ্রেসের নীতির কথা টেনে সনিয়া বলেন, “আমরা পিছিয়ে পড়া জাতি এবং রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। বিহার, গুজরাতে কংগ্রেসের সরকার নেই। কিন্তু দু’টি রাজ্যকেই আমরা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি।” অ-কংগ্রেসি রাজ্য সরকারের দিকেও কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার সাহায্যের হাত এগিয়ে দিয়েছে বলে সনিয়া দাবি করেন। তিনি বলেন, “১০ বছর ধরে বিহারের উন্নয়নের চেষ্টা করেছে কংগ্রেসও।”

সরাসরি নাম না-তুলে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকেও নিশানা করেন কংগ্রেস সভানেত্রী। মিনিট দশেকের ভাষণের মধ্যেই তিনি বলেন, “কেউ কেউ এখন চেহারা বদলে ধর্মনিরপেক্ষ হতে চাইছেন। নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে কেন্দ্রীয় সরকারের উপরে মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন।” উল্লেখ্য, রাজ্যের বিশেষ মর্যাদার কথাও নির্বাচনী প্রচারে তুলছেন নীতীশ। তিনি বলছেনরাজনৈতিক কারণেই বিহারকে ওই মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছে কেন্দ্র।

পাশাপাশি, সনিয়া জানান, দুর্নীতি রুখতে ইউপিএ সরকার তথ্য জানার অধিকারের ক্ষমতা মানুষের হাতে তুলে দিয়েছে। কৃষকদের জন্য নিখরচায় চিকিৎসা এবং ওষুধ দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কথাও তিনি ফের মনে করিয়ে দেন। একই সঙ্গে ইউপিএ সরকারের ১০ বছরের সাফল্যগুলিকেও তুলে ধরেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement