মোদীর সফরের আগে সতর্কতা বাড়লো অসমে

প্রধানমন্ত্রীর অসম সফরের ৭২ ঘন্টা আগে থেকে একের পর এক ঘটনায় হিন্দীভাষীদের নিশানা করতে শুরু করেছে আলফা-পরেশ গোষ্ঠী। পাশাপাশি, আগামী দিনে বিজেপির সভায় হামলার হুমকিও দিয়েছেন খোদ পরেশ বরুয়া। রাজ্য পুলিশের সন্দেহ, রাজ্যে ঘাঁটি গাড়া জেহাদিদের ‘স্লিপার সেল’-ও আলফা-এনডিএফবির জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নাশকতা ঘটাতে পারে।

Advertisement

রাজীবাক্ষ রক্ষিত

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৪ ০২:৫৭
Share:

প্রধানমন্ত্রীর অসম সফরের ৭২ ঘন্টা আগে থেকে একের পর এক ঘটনায় হিন্দীভাষীদের নিশানা করতে শুরু করেছে আলফা-পরেশ গোষ্ঠী। পাশাপাশি, আগামী দিনে বিজেপির সভায় হামলার হুমকিও দিয়েছেন খোদ পরেশ বরুয়া। রাজ্য পুলিশের সন্দেহ, রাজ্যে ঘাঁটি গাড়া জেহাদিদের ‘স্লিপার সেল’-ও আলফা-এনডিএফবির জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নাশকতা ঘটাতে পারে।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে আগামী ২৯ ও ৩০ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ অসমে আসছেন। উত্তর-পূর্বের আটটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও ডিজিপি সম্মেলন উপলক্ষ্যেই এই সফর। পুলিশের ধারণা, কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই লাগাতার নাশকতার ছক কষেছে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুয়াহাটি ও তার আশপাশে চরম সতর্কতা জারি করেছে পুলিশ। মোতায়েন করা হয়েছে ৩৫ কোম্পানি নিরাপত্তা রক্ষী। হিন্দীভাষীদের উপরে আরও হামলা হতে পারে বলে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছেন ডিজিপি খগেন শর্মা। তবে পুলিশের মতে, পশ্চিমবঙ্গের খাগড়াগড় বিস্ফোরণ যে ভাবে পূর্ব ও উত্তর-পূর্বে জেহাদি কাজকর্মকে সামনে এনেছে তাতে শাপে বর হয়েছে। সময়মতো সাবধান হওয়া গিয়েছে। ডিজিপি খগেন শর্মা আজ জানান, দেশব্যাপী জেহাদি অভ্যুত্থান, নকশাল সমস্যার মোকাবিলা, উত্তর-পূর্বের জঙ্গি সমস্যা ও জনজাতি সমস্যা, পুলিশের আধুনিকীকরণ, ভিনদেশে ঘাঁটি গাড়া জঙ্গিদের মোকাবিলা, নারী-শিশু-মাদক পাচার প্রভৃতি বিষয়গুলি ডিজিপি সম্মেলনে প্রাধান্য পাবে।

এদিকে, গত কাল রাতে লখিমপুরেও হিন্দিভাষীদের উপর আক্রমণ চালায় আলফা। লখিমপুর শহরে একটি পেট্রোল পাম্পে হানা দিয়ে ঘুমন্ত কর্মীদের উপরে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় তারা। কুমুদ রাই (২৩) নামে এক কর্মী মারা যান। রূপক সিংহ ও সতীশ পটেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্য দিকে, ২৩ নভেম্বর ডিব্রুগড়ে বিস্ফোরণ ঘটানো আলফার দলটি টিংখং এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছে জানতে পেরে পুলিশ গত রাতে বেতনিচক গ্রামে হানা দেয়। দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে নিতুল গগৈ নামে এক জঙ্গি মারা যায়। উদ্ধার হয় একটি একে-৫৬ রাইফেল। আলফা অবশ্য দাবি করেছে, নিতুল আগেই আত্মসমর্পণ করে পুলিশের চরবৃত্তি করছিল। পুলিশ ভুয়ো সংঘর্ষে তাকে হত্যা করেছে। পাশাপাশি, শদিয়ায় ৪টি রকেট লঞ্চার, ১টি কার্বাইন ও প্রচুর গুলি উদ্ধার হয়েছে। গত ২৪ নভেম্বর ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস থেকে মিলেছে সাড়ে ৫ কিলো টিএনটি ভরা আইইডি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন