কাল সকাল সাড়ে ন’টায় কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। সারা দিন কেটে গেলেও তিনি বাড়ি না ফেরায় থানায় খবর দিয়েছিলেন বাড়ির লোক। চব্বিশ ঘণ্টার মাথায়, আজ সকাল বেলা দক্ষিণ দিল্লির বসন্ত কুঞ্জ এলাকার সরকারি এক ফুলের বাগান থেকে উদ্ধার হল অর্ধনগ্ন ওই মহিলার মৃতদেহ। পুলিশের সন্দেহ, তাঁকে সম্ভবত গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। বছর তিরিশের ওই যুবতীর হাত-পা বাঁধা ছিল। শরীরে কাপড়-জামা ছিল নাম মাত্র।
নির্ভয়া কাণ্ডের পরে কেটে গিয়েছে দু’-দু’টো বছর। সেই সময় প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। ধর্ষণে অভিযুক্তদের দ্রুত বিচারের জন্য বদল আনা হয়েছে দেশের আইনেও। কিন্তু দিল্লি সেই দিল্লিতেই রয়ে গিয়েছে। মাস খানেক আগেও উবেরের এক ট্যাক্সিতে চালকের হাতে ধর্ষিতা হয়েছেন এক মহিলা। সেই কাণ্ডের পরও সংবাদমাধ্যমে কম হইচই হয়নি। কিন্তু তার পরও রাজধানী যে মেয়েদের জন্য সুরক্ষিত নয়, এই ঘটনাই আর এক বার প্রমাণ করল বলে মনে করছেন অনেকে।
দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আজ সকাল আটটা কুড়ি নাগাদ বাগানের নিরাপত্তারক্ষীরা দেহটি প্রথম দেখেন। বাগানের ভিতর একটি ঝোপের মধ্যে দেহটি পড়েছিল।
দেহ উদ্ধারের পর পরই খবর যায় পুলিশে। নিহত যুবতীর বাড়ির লোকজন পুলিশকে জানিয়েছেন, সন্ধে পর্যন্ত তিনি বাড়ি না ফেরায় প্রথমে তাঁরা নিজেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু রাত পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ না পেয়ে শেষমেশ পুলিশে খবর দেন।
দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি-র (ডিডিএ) অধীনস্থ ওই ফুলের বাগানে যুবতী কী ভাবে এলেন, তার উত্তর মেলেনি এখনও। তাঁকে অন্য কোথাও ধর্ষণ করার পরে খুন করে ওই বাগানে ফেলে রাখা হয়েছিল কি না, সে দিকও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।