জনসভার পর গত কালই গুয়াহাটি ফিরেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। রামকৃষ্ণনগরে তাঁর জনসভার মঞ্চও ভেঙে ফেলা হচ্ছে। করিমগঞ্জ ছেড়েছেন এনএসজি কম্যান্ডোরাও। কিন্তু জেলায় ৫টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে রাজনাথের সভার জন্য রামকৃষ্ণনগরকে কেন বেছে নেওয়া হল, তা নিয়ে বিজেপির অন্দরমহলে চর্চা চলছে। জেলা বিজেপি সভাপতি বিশ্বরূপ ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘‘করিমগঞ্জের রাতাবাড়ি আসনে আমাদের জয়ের সম্ভাবনা সব চেয়ে বেশি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অঞ্জন দত্ত রাতাবাড়ির চেরাগিতে সভা করেছেন। রামকৃষ্ণনগর ওই বিধানসভা সমষ্টিরই অন্তর্ভুক্ত। তাই ওই জায়গাটাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাস্থল হিসেবে বেছে নেওয়া হয়।’’
এ নিয়ে বিজেপি নেতাদের একাংশের বক্তব্য অবশ্য ভিন্ন। তাঁরা বলছেন, রামকৃষ্ণনগরকে বেছে নেওয়ার পিছনে রয়েছে অন্য রাজনীতি। অসমের প্রাক্তন মন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার মন রাখতেই রামকৃষ্ণনগরে রাজনাথ সিংহের সভা করানো হয়। হিমন্ত অসম বিজেপির নির্বাচন কমিটির আহ্বায়ক। বরাকের ১৫টি আসনে কাকে প্রার্থী করলে জয়ের সম্ভাবনা বেশি তা চূড়ান্ত করবেন তিনিই। তা ছাড়া হিমন্ত বিজেপিতে যোগদানের পর ৯ জন কংগ্রেস বিধায়কও তাঁর পথ অনুসরণ করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন রাতাবাড়ির বিধায়ক কৃপানাথ মালাও। সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া কৃপানাথই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে রাতাবাড়িতে বিজেপির টিকিট পাবেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। সে দিকে তাকিয়েই রামকৃষ্ণনগরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভা করিয়েছেন করিমগঞ্জ জেলা বিজেপির শীর্ষ স্তরের কয়েক জন নেতা।
বিজেপির অন্দরমহলের খবর, জেলায় দলের প্রথম সারির নেতাদের কয়েক জন বিভিন্ন সমষ্টিতে প্রার্থী হতে চাইছেন। হিমন্তকে তুষ্ট করতেই তাঁরা রাজনাথের জনসভা রাতাবাড়িতে করানোর ছক কষেছেন। পাশাপাশি কৃপানাথবাবুকে নিয়ে রাতাবাড়িতে বিজেপির দু’টি মণ্ডল কমিটি ক্ষুব্ধ। সেই ক্ষত ঢাকতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জনসভার মঞ্চে কৃপানাথবাবুকে নিয়ে এসে সবার সঙ্গে পরিচয় করানো হয়েছিল। শুধু তাই নয়, তাঁকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখারও সুযোগ দেওয়া হয়।