শশী-সুনন্দা সুখী দম্পতি ছিলেন, দাবি বন্ধুর

কয়েক দিন আগে পুলিশি জেরায় শশী তারুরের পরিচারক নারায়ণ সিংহ বলেছিলেন, সুনন্দা-শশীর কথা কাটাকাটির সময়ে প্রায়শই শোনা যেত কেটি নামে এক মহিলার নাম। নারায়ণের কাছে এই তথ্য পাওয়ার পরে রহস্যময়ী ‘কেটি’-কে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ভেবেছে দিল্লি পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০১৫ ০৩:১৩
Share:

কয়েক দিন আগে পুলিশি জেরায় শশী তারুরের পরিচারক নারায়ণ সিংহ বলেছিলেন, সুনন্দা-শশীর কথা কাটাকাটির সময়ে প্রায়শই শোনা যেত কেটি নামে এক মহিলার নাম। নারায়ণের কাছে এই তথ্য পাওয়ার পরে রহস্যময়ী ‘কেটি’-কে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ভেবেছে দিল্লি পুলিশ। কিন্তু আজ বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী টুইটারে দাবি করলেন, “নারায়ণ যে কেটির কথা উল্লেখ করেছেন, তাঁর নাম হবে ক্যাথি। ক্যাথরিনকে ছোট করে বলা হয় ক্যাথি।”

Advertisement

এ ব্যাপারে শশীর প্রতিক্রিয়া না মিললেও সুনন্দার মৃত্যু ঘিরে তারুর-স্বামীর বাগ্যুুদ্ধ চলছেই। শশী দিল্লিতে পা দিয়েই বলেছিলেন, উনি (সুব্রহ্মণ্যম স্বামী) যদি খুনিকে চেনেন, তা হলে পুলিশকে জানাতেই পারেন।” উত্তরে সুব্রহ্মণ্যম একটি টিভি চ্যানেলে বলেন, “আমি কখনও বলিনি খুনিকে চিনি। বলেছি, সুনন্দার খুনি কে, তা শশী জানেন।” খুনিকে চিনলে তিনি অনেক আগেই পুলিশকে জানিয়ে দিতেন বলেও দাবি করেন স্বামী।

পরিচারকের বয়ানে শশী-সুনন্দার দ্বৈরথের কথা প্রকাশ্যে এলেও তারুর দম্পতির বন্ধু সঞ্জয় দেওয়ান অন্য কথাই বলেছেন। তিনি বলেন, “২০০৬ থেকে শশীকে চিনি। সুনন্দার সঙ্গে ওঁকে সুখী মনে হত। তবে দাম্পত্যে যেমন একটু-আধটু মতপার্থক্য থাকে, ওঁদেরও হত। সেটাকে ঝগড়া বলা যায় না।”

Advertisement

সুনন্দা-মৃত্যুর তদন্ত যে পথে এগোচ্ছে তা নিয়ে কোচির সাংবাদিক বৈঠকে আপত্তি তুলেছিলেন শশী। পুলিশের সঙ্গে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও সংবাদমাধ্যম যে ভাবে বিষয়টি তুলে ধরছে, তা প্রত্যাশিত নয় বলে দাবি ছিল তাঁর। এ দিন শশী এসেছিলেন ভারতীয় জাদুঘরে কলকাতা লিটারারি ফেস্টিভ্যালের আসরে। সমকালীন ভারতের ঐতিহ্য রক্ষা প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন তিনি।

তবে সংবাদমাধ্যমকে বিঁধতে কসুর করেননি শশী। তাঁর মন্তব্য, “ইন্টারনেটে ডুবে থাকা তরুণ প্রজন্ম কিন্তু অতীত থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকছে। তাৎক্ষণিকতার মোহ ও ‘ব্রেকিং নিউজ’-এর প্রতি ঝোঁক এর একটি কারণ।” বলতে ওঠার আগে-পরে দীর্ঘ সময় স্মার্টফোন নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন শশী। পরে সুনন্দা-প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতে চাইলেও সাংবাদিকদের দিকে তাকাননি। নিরাপত্তারক্ষীদের প্রহরায় তাঁদের এড়িয়ে বেরিয়ে যান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন