জানতে হবে রান্নার কৌশল। আঙুল চেটে সব্জি খাবে ছোট থেকে বড় সকলেই। ছবি: সংগৃহীত।
ঢ্যাঁড়স, আলু, কপি— খাবার যতই পুষ্টিকর হোক না কেন, ছোটদের তা খাওয়ানো কত বড় ঝকমারি, তা ভালই জানেন মায়েরা। বেশির ভাগ বাড়িতেই এ নিয়ে যুদ্ধ চলে। আর সেটাই স্থান পেয়েছে একটি সংস্থার বিজ্ঞাপনী সংলাপে। যেখানে এক খুদে তার দিদিকে বলছে, ‘‘প্রতি দিন ঢ্যাঁড়স, আলু, কপি খেয়ে কোন শক্তি হয় জানিস? সহ্যশক্তি।’’
মজার ছলে তৈরি সংলাপ কিন্তু আদতে ছোট থেকে বড়, অনেকেরই মনের কথা বলে দিয়েছে। মাছ, মাংস, চিপ্স, আলুভাজা, পেস্ট্রি, চকোলেটে আপত্তি না থাকলেও ঢেঁড়স বা শাকসব্জি দেখলে চট করে কোনও শিশু খেতে চায় না। শুধু ছোট নয়, বড়দেরও অনেকে ঢেঁড়সের তরকারি শুনলেই নাক সিঁটকান। অপছন্দের সব্জিও সকলে চেটেপুটে খাবেন রান্নার কৌশলে বদল আনলেই।
নারকেল দিয়ে ঢেঁড়স ভাজা: চিরপরিচিত ঢেঁড়স ভাজার বদলে একটু দক্ষিণী স্বাদে বানান ঢেঁড়স। কড়াইয়ে তেল দিয়ে কারিপাতা এবং শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিন। ছোট ছোট করে কাটা ঢেঁড়স ভাজুন। স্বাদমতো নুন দিয়ে ঢেকে দিলেই জল বেরোবে। আধভাজা হলে যোগ করুন নারকেল কোরা। আর কিছু ক্ষণ রান্না করে নামিয়ে নিন।
পুর ভরা ঢেঁড়স: ঢেঁড়স মাঝখান থেকে আড়াআড়ি করে কেটে লম্বা করে চিরে নিন। একটি কড়াইয়ে সাদা তিল, চিনেবাদাম, নারকেল কোরা নাড়াচাড়া করে নিন। সামান্য নুন দিন। সমস্ত উপকরণ মিক্সারে ঘুরিয়ে নিন। তার সঙ্গে দিন লঙ্কাগুঁড়ো, আমচুর পাউডার, হলুদ, পাতিলেবুর রস। ভাল করে সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে ঢেঁড়সের মধ্যে ভরে দিন। কড়াইয়ে অল্প তেলে উল্টে-পাল্টে সেঁকে নিন।
রসুন দিয়ে ঢেঁড়স: রান্না খুব সহজ। ঝঞ্ঝাট নেই। রুটি থেকে পরোটা, কিবাং গরম ভাতে দারুণ লাগবে এই রান্না। কড়াইয়ে সাদা তেল এবং ঘি দিন। গরম হলে কুচোনো রসুন দিয়ে দিন। তার পর নুন, হলুদ দিয়ে ঢেঁড়স ভেজে নিন। গরম খেতে দারুণ লাগবে।