টাকা বাঁচানোর ৭ কৌশল। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
দুর্গাপুজোয় হাত খুলে খরচ করেছেন? দামি দামি পোশাক-গয়না কেনা, খাওয়াদাওয়া, বেড়াতে যাওয়া, আত্মীয়দের উপহার দেওয়া, সব মিলিয়ে ব্যয়বহুল এক উৎসব পালন! কিন্তু দীপাবলির সময়ে যেন এ ভাবে ভাঁড়ার শূন্য না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে আগেভাগেই। একটু পরিকল্পনা আর সচেতনতা থাকলে ফের আর্থিক টানাপড়েনের মুখে পড়তে হবে না। এমন ভাবেই অঙ্ক কষে নিন, যাতে আনন্দে খামতি না থাকে, আবার নিঃস্বও না হতে হয়।
দীপাবলির জন্য তাই কয়েকটি পরিকল্পনার প্রয়োজন—
১. বাজেট স্থির করে নিন আগেই
প্রথমেই হিসেব করে নিন সর্বোচ্চ কত খরচ করা যাবে। উপহার, সাজগোজের সামগ্রী, খাবারদাবার, পোশাক ইত্যাদির জন্য আলাদা খাত বানিয়ে রাখলে বাজেট ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে।
২. অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এড়িয়ে চলুন
যে জিনিসগুলি অতিরিক্ত, না হলেও হয়, সে সবের পিছনে খরচ করা থেকে বিরত থাকুন। অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা করা মানেই পরের মাসের বাজেটে কোপ পড়বে।
৩. দাম তুলনা করে কিনুন
একই জিনিস কয়েক জায়গায় দেখে নিয়ে দাম তুলনা করে তার পর কিনুন। দোকান গিয়ে হোক বা অনলাইনে— যেখানে সস্তায় পাবেন, সেখানেই কিনবেন।
দীপাবলির আনন্দে খামতি না রেখেই পরিকল্পনা। ছবি: সংগৃহীত।
৪. আগেভাগে কেনাকাটা শুরু করুন
দীপাবলি পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগে থেকেই কেনাকাটা সেরে নিন। এই সময়ে অনলাইনে এবং দোকানে নানাবিধ ছাড়ের সুযোগ পাওয়া যায়। কালীপুজোর তারিখ এগিয়ে এলে জিনিসের দাম বাড়তে থাকবে।
৫. উপহার ও সাজসামগ্রী কেনার আগে ভাবুন
দোকান থেকে না কিনে হাতে তৈরি উপহার দিতে পারেন। পোশাক বুনে দেওয়া থেকে গয়নাগাটি বানিয়ে দেওয়া, নানা রকমের উপহার নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে পারেন। এতে ব্যক্তিগত ছোঁয়ার পাশাপাশি সৃজনশীলতার ছাপ থাকে। পোশাক ও সাজসামগ্রীর ক্ষেত্রেও অভিনবত্ব আনতে পারেন। পুরনো সাজসামগ্রীকেই নতুন ভাবে ব্যবহার করা যায়। পুরনো দু’টি বা তিনটি লিপস্টিক মিশিয়ে নতুন রং তৈরি থেকে শুরু করে লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে পুরনো পোশাককেই নতুন করে তোলা— এই সব উপায়ে খরচ অনেকটাই কমবে।
৬. খাওয়াদাওয়ার পরিকল্পনা করুন
রেস্তরাঁয় গিয়ে এক বারে একাধিক খাবার বা বেশি পরিমাণে খাবার অর্ডার না দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে খেতে পারেন। বাড়িতে খানাপিনার আয়োজন হলে অর্ডার না করে বানিয়ে নিতে পারেন। তবে সবচয়ে সুবিধাজনক এবং কম ব্যয়বহুল উপায় হল, ‘পটলাক’। অর্থাৎ বন্ধুদের এক এক জনকে এক একটি খাবার রেঁধে আনার দায়িত্ব দিন। তাতে সকলের মধ্যে খরচ ভাগ হয়ে যায়, পরিশ্রমও কমে।
৭. ছাড়ের সুযোগ কাজে লাগান
এই সময়ে অনলাইন শপিং অ্যাপে বা অনলাইন টাকা লেনদেনের অ্যাপে বিভিন্ন অফার, ক্যাশব্যাক, কুপনের দিকে নজর রাখুন। সুযোগ থাকলে লুফে নিতে হবে, তবে প্রয়োজন না পড়লে অকারণে সেগুলি ব্যবহার করার অর্থ নেই।
উৎসবের শেষে খরচ নিয়ে পর্যালোচনা করা দরকার। দেখে নেওয়া উচিত, কোথায় বেশি খরচ হয়েছে, কোথায় সাশ্রয় হয়েছে। সেই মতো পরের মাসে খরচ চালাতে সুবিধা হবে।