কখনও অত্যধিক কাজের চাপ, কখনও গভীর কোনও শোক। এ রকম অনেক কিছু থেকেই হতে পারে নার্ভাস ব্রেকডাউন। স্নায়বিক চাপ ক্রমশ বাড়তে থাকলে এক সময় ভেঙে পড়ি আমরা। নার্ভাস ব্রেকডাউনের সেই চরম পর্যায়ে পৌঁছনোর আগে জেনে নিন কিছু লক্ষণ। ক্রমাগত স্নায়বিক চাপ থেকে যা হতে পারে। নিজের বা পরিবার, বন্ধুদের মধ্যে কারও এই সমস্যাগুলো হলে সতর্ক থাকুন।
মনসংযোগে অসুবিধা: অনেক কিছুর চিন্তা মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেলে, কোনও কিছু নিয়ে স্নায়বিক চাপ তৈরি হলে, স্ট্রেসের কারণে কাজে মনসংযোগ করতে অসুবিধা হয়।
অনিয়মিত হৃত্স্পন্দন: টেনসন হলে অনেকেরই ধুকপুকানি বেড়ে যায়। হাত, পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, ধুকপুকানি বেড়ে যাওয়া, দুর্বলতা প্যানিক অ্যাটাকের লক্ষণ।
পেট খারাপ: চিন্তা, উত্কণ্ঠায় ভোগার একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ের লক্ষণ বার বার পেটের সমস্যা হওয়া। ঘন ঘন যদি পেটের সমস্যা হতে থাকে তা হলে অবশ্যই স্নায়বিক চাপে ভুগছেন আপনি।
টেনসন থেকে মাথা যণ্ত্রণা: অতিরিক্ত টেনসন, স্ট্রেস থেকে ভুগতে ভুগতে মাথা যন্ত্রণার সমস্যা হতে পারে। যা স্নায়ুতন্ত্রের উপর প্রবল চাপ ফেলে। ফলে হতে পারে নার্ভাস ব্রেকডাউন।
ঘুমের সমস্যা: অতিরিক্ত স্ট্রেসের অন্যতম প্রধান কারণ ঘুমের সমস্যা। অবসাদের কারণে দীর্ঘ সময় ধরে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত স্ট্রেস, মানসিক চাপ, ঘুমের সমস্যা থেকে নার্ভাস ব্রেকডাউনের সমস্যার ঝুঁকি থাকে।
অবসাদ: ডিপ্রেশনের অন্যতম কারণ হতে পারে নার্ভাস ব্রেকডাউন। কোনও বড় আঘাত, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় অসহায়তা থেকে নার্ভাস ব্রেকডাউন হতে পারে। সেখান থেকেই আসতে পারে গভীর অবসাদ।
উত্কণ্ঠা: অকারণ ভয় বা কোনও ফোবিয়া কি আপনাকে কুরে কুরে খাচ্ছে? কোনও প্রকৃত কারণ ছাড়া অযথা ভয় তাড়া করে বেড়ানো, উত্কণ্ঠায় ভোগা নার্ভাস ব্রেকডাউনের লক্ষণ হতে পারে।