Literacy Drive

৮৭ বছরে নতুন জীবনে পা, লেখাপড়া শুরু করলেন বৃদ্ধা! স্বপ্ন, অন্তত এক জনকে শিক্ষিত করে তোলা

মিশরের বাসিন্দা জুবাইদা আবদেলের ছেলেবেলা থেকেই পড়াশোনা শেখার শখ, কিন্তু পারিবারিক চাপের জন্য আলাদা করে লেখাপড়া করার সময় ও সুযোগ কোনওটাই হয়নি তাঁর। কী ভাবে পূরণ হল তাঁর স্বপ্ন?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইজিপ্ট শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৩ ১৪:৩২
Share:

জুবাইদা আবদেল এখন তাঁর শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। ছবি: রয়টার্স

লেখাপড়া শেখার কোনও বয়স হয় না, সেই কথা আবার প্রমাণ করলেন বছর ৮৭-এর এক বৃদ্ধা। মিশরের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধার ছেলেবেলা থেকেই পড়াশোনা শেখার শখ, কিন্তু পারিবারিক চাপের জন্য আলাদা করে লেখাপড়া করার সময় ও সুযোগ কোনওটাই হয়নি তাঁর।

Advertisement

জুবাইদা আবদেল এখন তাঁর লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। সাক্ষরতার শংসাপত্র পাওয়াই এখন তাঁর জীবনের লক্ষ। শিক্ষিত হয়ে জীবনে অন্তত এক জনকে শিক্ষিত করে তুলতে পারলেও তাঁর জীবন সার্থক বলে জানিয়েছেন তিনি। মিশরের বাসিন্দাদের মধ্যে সরকারি তরফে একটি সাক্ষরতার অভিযান চালানো হয়েছিল। আর এই কারণেই বৃদ্ধ বয়সে নতুন করে শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে জুবাইদার মতো আরও অনেকেই।

আট সন্তানের মা জুবাইদা। এক ছেলে ও এক মেয়েকে হারিয়েছেন তিনি। ১৪ জন নাতিপুতি নিয়ে জুবাইদার ভরা সংসার। ছেলেবেলা থেকেই লেখাপড়া শিখতে চাইতেন তিনি। তবে তাঁর বাবার রক্ষণশীল মনোভাবের কারণে সেই সুযোগ হয়নি তাঁর। বাবার মৃত্যুর পর বোনদের জোর করে পড়াশোনা শেখান জুবাইদা। তবে নিজের জন্য ভাবার আর সুযোগ হয়নি। ১৮ বছর বয়সে বিয়ে হয় তাঁর। সন্তানদেরও তিনি জোর করে স্কুলে ভর্তি করান। ছেলেমেয়েরা যেন স্কুল থেকে পালিয়ে যেতে না পারে তার জন্য স্কুলের বাইরে জিনিসপত্র নিয়ে বসতেন তিনি। ছেলেমেয়েদের অনুকরণ করে লেখাপড়া শেখার চেষ্টা চালিয়ে যেতেন জুবাইদা।

Advertisement

সরকারি তরফে লেখাপড়া করার সুযোগ পেয়ে বেজায় খুশি জুবাইদা। মিশর সরকারের এই উদ্যোগ ২০২২-এর জুলাই মাসে শুরু হয়। গত ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত দেশব্যাপী প্রায় ৯০০০ জন এই প্রকল্পে অংশ নিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন