রেস্তরাঁর উদ্বোধনে অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু। — নিজস্ব চিত্র।
দুর্গাপুজোয় একটু শিকড়ে ফিরতে মন চায় বাঙালিদের। ষষ্ঠী থেকে দশমীর অন্তত একটা দিন থালায় বিরিয়ানি-চাইনিজ়ের বদলে কষা মাংস, লুচি, বাসন্তী পোলাও দেখতে চায় তারা। ফলে কোরিয়া, জাপান, ইতালীয়, চিনা, মোগলাইয়ের রেস্তরাঁর চেয়ে বাঙালি খাবারের রেস্তরাঁতেই ভিড় হয় বেশি। আর বঙ্গজনের সেই ইচ্ছে এবং চাহিদাকে পুঁজি করেই বাঙালি খাবারদাবারের সম্ভার নিয়ে দরজা খুলল ‘কলকাতা আনকাট’। আনকাট অর্থাৎ রাখঢাকহীন। কলকাতার খাদ্যসংস্কৃতিকে সে ভাবেই পাতে সাজিয়ে পরিবেশন করবে এই রেস্তরাঁ। তাও আবার পকেট বাঁচিয়ে।
মেনুতে থাকছে চিংড়ির পোলাও, কষা মাংস, মটন ডাকবাংলো, ভেটকি ভাপা, চিংড়ির মালাইকারি, লোটে মাছের ঝুরো, গন্ধরাজ চিকেন, ডাব মুরগি, লেবু লঙ্কা মুরগি, কাজু মুরগি, দই ইলিশ, সর্ষে ইলিশ, গোল্ডেন ফ্রায়েড প্রনের মতো আমিষ ব্যাঞ্জন। নিরামিষেও থাকছে বাসন্তী পোলাও, পটলের দোলমা, শুক্তা, ঝিঙে আলু পোস্ত, ফুলকপির রোস্টের মতো ঐতিহ্যবাহী পুরনো বাঙালি রান্না।
রেস্তরাঁর মেনুতে থাকছে নানা ধরনের বাঙালি খাবার এবং কলকাতার চাইনিজ়। — নিজস্ব চিত্র।
কলকাতার খাবার বললে কলকাতার নিজস্ব চাইনিজ়কে বাদ দেওয়া যায় না। তাই মেনুতে থাকছে তা-ও। বুফে এবং আ লা কার্টে দু’রকম বিকল্পই পাবেন এখানে খেতে আসা অতিথিরা। বাঙালি খাবারের দাম শুরু হচ্ছে ৬০ টাকা থেকে। চিনা মেনু ১৩০ টাকায়।
৬০ আসন বিশিষ্ট এই রেস্তরাঁটির ঠিকানা দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত পাড়ায়। সম্প্রতি ওই রেস্তরাঁটি উদ্বোধন হল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন টলিউডের খাদ্যরসিক অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু। উপস্থিত ছিলেন রেস্তরাঁর কর্ণধার বর্ষা চক্রবর্তীও।