Restaurant

মূক এবং বধির কর্মীরাই চালাচ্ছেন রেস্তরাঁ, অবজ্ঞাকে হেলায় হারিয়ে মন জিতছেন অনেকের

মূক এবং বধির কর্মীরাই চালাচ্ছেন রেস্তরাঁ। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োটিই মন জয় করছে লক্ষ লক্ষ মানুষের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২২ ২২:৪৩
Share:

‘আমরা করব জয় নিশ্চয়’। ছবি- ইন্সটাগ্রামের পাতা থেকে।

পুণের ফারগুসন কলেজ রোডের একটি রেস্তরাঁ, যেখানে খাবারের বরাত নেওয়া, খাবার দেওয়া থেকে খাবারের দাম নেওয়া বা টাকা ফেরত দেওয়া, সবটাই চলছে সুষ্ঠ ভাবে। কর্মীরা কাজ করছেন, আর পাঁচ জনের মতোই স্বাভাবিক ছন্দে। বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে, তাঁরা সকলেই মূক এবং বধির। সে রেস্তরাঁর একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ভিডিয়োটি মন জয় করছে লক্ষ লক্ষ মানুষের।

Advertisement

মূক এবং বধির শুনলেই সাধারণ মানুষের ধারণা, তাঁরা অন্যদের থেকে আলাদা। তাঁদের মনের ভাব প্রকাশ করার ভঙ্গি ‘সাধারণ’ মানুষের মতো নয়। কানে কম শোনেন বা শুনতে পান না, কথা বলতে পারেন না এমন মানুষদের দেখলে অন্যরা একটু তাচ্ছিল্যই করেন। ‘মূক ও বধিরদের’ স্কুলগুলি তাঁদের জীবনে শিক্ষার আলো জ্বাললেও, ভবিষ্যতের কর্মজীবন অনেকের অন্ধকারই থেকে যায়। তাঁদের কথা ভেবেই এই ব্যবস্থা।

Advertisement

মেনু কার্ডে বিভিন্ন খাবারের তালিকার সঙ্গে আঁকা রয়েছে বিভিন্ন সাঙ্কেতিক চিহ্ন। যা দেখে শিখতে সময় লাগে বড়জোর ৫ মিনিট। হাতের আঙুলের সেই সব ভঙ্গিতেই বোঝানো যাবে আপনি কী খেতে চাইছেন বা কতটা পরিমাণ চাইছেন। স্টার্টার থেকে ডেজ়ার্ট, সবই পাবেন এই রেস্তরাঁয়।

শুধু কর্মসংস্থানই নয়, বিশেষ ভাবে সক্ষম এই মানুষগুলির মাথার উপর নিশ্চিন্তের আশ্রয় এবং দু’বেলা পেট ভরা খাবার দেওয়াই তাঁদের একমাত্র উদ্দেশ্য। সবচেয়ে বড় কথা কারও দয়ায় নয়, নিজ সম্মানে বাঁচার অধিকার তাঁরা অর্জন করেছেন নিজের কাজ দিয়েই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন