Biryani

দোকানে নেই কর্মী, তবু ৩ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডেই মেশিন থেকে বেরিয়ে আসবে গরম গরম বিরিয়ানি!

স্ক্রিনে হাত বুলিয়ে খাবার অর্ডার দেওয়ার ব্যবস্থা আগেও ছিল। কিন্তু খাবার ‘ডেলিভারি’ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও কর্মীর উপরই ভরসা করতে হত এত দিন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চেন্নাই শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৩ ১৫:৩৮
Share:

কর্মীহীন দোকানে গরম বিরিয়ানি খেতে গেলে কত দূর পাড়ি দিতে হবে জানেন? ছবি- সংগৃহীত

‘এটিএম’-এর মতো যন্ত্রে হাত বোলালেই অর্ডার করা যাবে পছন্দের বিরিয়ানি। অর্ডার করার পর মাত্র সাড়ে তিন মিনিটের মাথায় যন্ত্রের দরজা খুলে চলে সেই খাবার, আবার নিজে নিজেই চলে আসবে ক্রেতার হাতে। এমনও কি সম্ভব? ভারতের প্রথম কর্মীহীন, স্বয়ংক্রিয় বিরিয়ানির ‘টেকঅ্যাওয়ে’ কেন্দ্র খুলল চেন্নাইয়ের কোলাতুরে।

Advertisement

খিদের সময়ে নাকে বিরিয়ানির গন্ধ নিয়ে, লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার যে কী কষ্ট, তা জানেন অনেকেই। কত কম সময়ে ক্রেতাদের হাতে খাবার তুলে দেওয়া যায়, তা নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা লেগেই থাকে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে। কিন্তু এত কাজ তো কোনও কর্মী ছাড়া করা সম্ভব নয়। তেমন অসম্ভব কাজটি কী করে সম্ভব হল, তা-ই দেখলেন এক প্রভাবী। সম্প্রতি সেই ভিডিয়োই ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে।

‘ভাই বীতু বিরিয়ানি’ বা ‘বিভিকে’ বিরিয়ানি নামের এই ‘টেকঅ্যাওয়ে’ দেকানটি থেকে বিরিয়ানি খেতে চাইলে ক্রেতাকে আসতে হবে তাঁদের দোকানে। সেখানে গেলেই দেখতে পাওয়া যাবে সারি দিয়ে রয়েছে ‘এটিএম’-এর মতোই দেখতে অনেকগুলি যন্ত্র। সেই যন্ত্রের স্ক্রিনে দেওয়া থাকবে বিরিয়ানি-সহ বিভিন্ন খাবারের বিকল্প। সেখান থেকে পছন্দের বিরিয়ানি অর্ডার করার পর, মেটাতে হবে দাম। পুরো বিষয়টি সম্পন্ন হলে স্ক্রিনে ফুটে উঠবে সময়। নির্ধারিত সময় শেষে যন্ত্রের নীচে থাকা ছোট্ট খোপ খুলে যেতেই প্যাকেটজাত হয়ে চলে আসছে বিরিয়ানি। এই গোটা ঘটনায় সময় লাগছে মাত্র ৩ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড। বিরিয়ানি বানানো ছাড়া এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে কোনও কর্মীর যোগাযোগ নেই। এমনকি, বিরিয়ানির দাম দিতেও প্রয়োজন পড়ছে না কারও।

Advertisement

এর আগে দক্ষিণী খাবার দোসা, ইডলি, সম্বর বা বড়ার জন্য বেঙ্গালুরুতে এমনই স্বয়ংক্রিয় একটি দোকান চালু হয়েছিল। কিন্তু বিরিয়ানি জন্য এর আগে ভারতের কোথাও এমন কোনও দোকান ছিল না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন