দুর্গাপুর হাসপাতাল

শেষমেশ ডায়ালিসিস ইউনিট চালুর আশা

বিধায়ক তহবিল থেকে যন্ত্রপাতি কেনার পর দীর্ঘ দু’বছর কেটে গেলেও উপযুক্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী না মেলায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ডায়ালিসিস ইউনিট চালু করা যায়নি। শেষ পর্যন্ত পিপিপি মডেলের মাধ্যমে একটি বেসরকারি সংস্থার নাম নির্বাচন করে স্বাস্থ্য দফতরে পাঠালেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৫ ০২:৩১
Share:

বিধায়ক তহবিল থেকে যন্ত্রপাতি কেনার পর দীর্ঘ দু’বছর কেটে গেলেও উপযুক্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী না মেলায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ডায়ালিসিস ইউনিট চালু করা যায়নি। শেষ পর্যন্ত পিপিপি মডেলের মাধ্যমে একটি বেসরকারি সংস্থার নাম নির্বাচন করে স্বাস্থ্য দফতরে পাঠালেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর জেরে দ্রুত ইউনিটটি চালু করা যাবে বলে আশা করছেন কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

দুর্গাপুর পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়ের এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে ২০১৩ সালের প্রথম দিকে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা খরচ করে ডায়ালিসিস মেশিন কেনা হয় হাসপাতালে। কিন্তু উপযুক্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী না মেলায় ইউনিটটি চালু করা যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একাধিকবার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। বিধায়ক নিখিলবাবুও ‘ডিরেক্টর অফ হেলথ সার্ভিস’-এ ফ্যাক্স বার্তা পাঠান কয়েক বার। বিধানসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি হাসপাতাল পরিদর্শনে এলে সমস্যার কথা তুলে ধরেন বিধায়ক নিখিলবাবু। স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও ফল কিছু হয়নি। শেষ পর্যন্ত পিপিপি মডেলে বেসরকারি সহযোগিতায় ইউনিটটি চালু করার কথা ঘোষণা করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঠিক হয়, ৫ শয্যা বিশিষ্ট ইউনিটটির যাবতীয় পরিকাঠামোগত সহযোগিতা দেবে হাসপাতাল। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেবে বেসরকারি সংস্থা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ টেন্ডার ডাকেন চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৫ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু টেন্ডার নিয়ে কিছু প্রক্রিয়াগত জটিলতার কারণে তা বাতিল করেন কর্তৃপক্ষ। ফের টেন্ডার ডাকা হয়। আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ১২ মার্চ। কিন্তু টেন্ডার সংক্রান্ত টালবাহানায় তাও চালু করা যায়নি।

তবে এ বার জটিলতা কাটার ইঙ্গিত দিলেন হাসপাতাল সুপার দেবব্রত দাস। সোমবার তিনি বলেন, ‘‘টেন্ডারের মাধ্যমে নির্বাচিত সংস্থার নাম পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরে।’’ হাসপাতাল সুপার দেবব্রতবাবুর আশ্বাস, ‘‘স্বাস্থ্য দফতরের ছাড়পত্র মিললেই ডায়ালিসিস ইউনিট চালু হয়ে যাবে।’’ এতদিন কিডনির জটিল রোগে ভোগা দুঃস্থ রোগীদের নার্সিংহোম থেকে বেশি খরচে ডায়ালিসিস করাতে হতো। এ বার থেকে অনেক কম খরচেই চিকিৎসার পরিষেবা মিলবে বলে আশা মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। বিধায়ক নিখিলবাবু বলেন, ‘‘হাসপাতালে ডায়ালিসিস ইউনিট চালু করা গেলে ন্যূনতম খরচে পরিষেবা পাবেন রোগীরা।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন