Myth Vs Reality

সমাজমাধ্যমে ব্রণ কমানো থেকে উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার পরামর্শ শুনেই মুখে মাখছেন? দাবির কতটা সঠিক?

ত্বক সুন্দর রাখার নানা কৌশল এখন শেখা যায় সমাজমাধ্যমে। কিন্তু সেখানে যা বলা হয়, তা কি কাজের? না কি উল্টে ক্ষতিও হতে পারে?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ১৩:৫২
Share:

ত্বকের জেল্লা ফেরাতে প্রচলিত সব টোটকাই কি কাজের? ছবি: সংগৃহীত।

‘ব্রণ কমে যাবে এক উপাদানেই’। ‘ফেসপ্যাক মেখেছেন? নির্দিষ্ট অনুভূতি হওয়া মানেই সেটি কাজ করছে’। ত্বকের হাজারো সমস্যার সমাধান এখন হাতের মুঠোয়। রকমারি টোটকা মেলে সমাজমাধ্যমে চোখ রাখলেই। আগে যে সমাধান পাড়ার কারও কাছে বা পরিচিত মহলে টুকিটাকি জানা যেত, এখন সমাজমাধ্যমের দৌলতে সকলেই শিখে সেই গিয়েছে টোটকা। কেউ মুখে মাখছেন, ফল পাচ্ছেন। কারও আবার ভিন্ন অভিজ্ঞতা।

Advertisement

রূপচর্চা করতে গিয়ে তেমন ফল না মিললেও, ত্বকের কোনও ক্ষতি না হলে এক কথা। কিন্তু রূপচর্চার ফল ভুগতে হলে সে বড় সাংঘাতিক হতে পারে। প্রচলিত টোটকার কোনটি কাজের, কোনটি নয় বোঝা দরকার।

ব্রণতে মাজন: ব্রণ কমাতে দাঁতের মাজন নাকি দারুণ কার্যকর। লোকমুখে এমন কথা মাঝেমধ্যেই শোনা যায়। সমাজমাধ্যমে খুঁজলেও, এমন পরামর্শ মিলবে। সেই শুনে কৈশোরে এমন কীর্তি করেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী শর্বরী ওয়াগ। এক সাক্ষাৎকারে নিজেই জানিয়েছিলেন সেই কথা।রাতে মাজন লাগিয়ে ঘুমোতে গিয়েছিলেন। সকালে উঠে দেখেছিলেন বালিশে সেই মাজন মাখামাখি হয়ে বিশ্রী অবস্থা।

Advertisement

তবে ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, ব্রণ কমানোর উপায় দাঁতের মাজন হতে পারে না। কোনও কোনও মাজনে হাইড্রোজেন পারক্সাইড-সহ এমন কিছু উপাদান থাকে, যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষত ব্রণতে এই সব লাগালে, উল্টে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। স্থানটিতে জ্বালা করতে পারে, এমনকি ফুলেও যেতে পারে। ব্রণের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ উপায়।

জ্বালা করা মানেই কাজ করছে: প্রাকৃতিক উপায়ে রূপচর্চার চল নতুন নয়। তাতে কাজও হয় নিঃসন্দেহে। অ্যালো ভেরা থেকে হলুদ, জাফরান, দুধ, মধু দিয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়ার পন্থা চলে আসছে বহু দিন ধরেই। তবে এখন রকমারি ফুলের নির্যাস দিয়েও ত্বকের জন্য ফেশিয়াল ক্রিম থেকে মাস্ক তৈরি হয়। প্রাকৃতিক উপাদান উপকারী হলেও সকলের ত্বকে তা সমান ভাবে কাজ করে না। প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি মাস্ক ব্যবহারে মুখে যদি হালকা জ্বালা করে, অনেকে বলেন, এতে বোঝা যায় তা ত্বকে কাজ করছে। বিষয়টি মোটেই সঠিক নয়। জ্বালা করলে সেটি সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে ফেলা প্রয়োজন। কোনও উপাদান ত্বকে সহ্য না হলে প্রদাহ হতে পারে।

চালের গুঁড়ো, চিনি দিয়ে স্ক্রাবিং: প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে স্ক্রাবিং করেন অনেকেই। তা যে সকলের ত্বকের ক্ষতি করে এমন নয়। অনেকে সময় ফলও মেলে। তবে স্ক্রাবিং মানেই দানাজাতীয় উপকরণ দিয়ে ত্বক ঘষা নয়। ঘরোয়া স্ক্রাব তৈরি করলেও, তার পরিমাণ বুঝতে হবে। দানাজাতীয় উপকরণ দিয়ে মুখ গায়ের জোরে ঘষলে ক্ষতি হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement