ক্লিনজ়িংয়ের সময় কোনও ভুল হচ্ছে কি? ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
ত্বকের জেল্লা বজায় রাখতে হলে নিয়মিত ক্লিনজ়িং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজ়িং জরুরি, বলেন রূপ নিয়ে চর্চাকারী পেশাদার ব্যক্তিত্বেরা। ত্বকের যত্নে এগুলি মূল ধাপ মনে করান অভিনেত্রীরাও।
কিন্তু সেই ধাপেই যদি ভুল থাকে? কাজকর্ম সেরে বাড়ি ফিরে শোয়ার আগে মুখ জলের ঝাপটা দিয়ে ধুলেন বা ফেসওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করে নিলেন। এই ধাপটুকুই সব সময় সঠিক বা যথেষ্ট হয় না।
ভুল কোথায়, কী ভাবে হতে পারে?
১। চিকিৎসক থেকে রূপটানশিল্পীরা মনে করান, দিনের শেষে মেকআপ তোলা জরুরি। সেখানে ক্লান্তি বা আলস্য হলেই বিপদ। তবে শুধু ফেসওয়াশ যথেষ্ট নয়। এতে মেকআপ সঠিক ভাবে ওঠে না। বরং লিপস্টিক থেকে ফাউন্ডেশন, আইলাইনার, মাস্কারার পরত তুলতে নারকেল তেল, মাইসেলার ওয়াটার, মেকআপ রিমুভার— ত্বকের উপযোগী কোনও একটি জিনিস বেছে নেওয়া জরুরি। প্রথমে তুলোর সাহায্যে এগুলির মধ্যে কোনও একটি দিয়ে মেকআপ তুলে নিতে হবে। তার পর ব্যবহার করতে হবে ফেসওয়াশ।
২। সঠিক ফেসওয়াশ বাছাইও গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। একটি ফেসওয়াশ পরিবারের সকলের জন্য প্রযোজ্য নয়। কারণ, সকলের ত্বকের ধরন আলাদা। ফেসওয়াশ বাছাই করতে হবে ত্বকের সমস্যা এবং প্রয়োজন বুঝে, বিজ্ঞাপনী চটকে ভুলে নয়।
৩। ক্লিনজ়িং বেশি বা কম, কোনওটিই ত্বকের উপযোগী নয়। মাইসেলার ওয়াটার বা নারকেল তেল তত বার ব্যবহার করতে হবে যত ক্ষণ না সম্পূর্ণ কাজল বা ফাউন্ডেশন ত্বর থেকে পরিষ্কার হচ্ছে। আবার ক্লিনজ়িং জরুরি মানেই দিনে ৩-৪ বার ফেসওয়াশ ব্যবহার বা বার বার মুখ ধোয়ার অভ্যাসও সঠিক নয়। ফেসওয়াশ দিনে এক থেকে দু’বার ব্যবহার করা যেতে পারে। দিনে ২-৩ বার জল দিয়ে মুখ ধোয়াই যথেষ্ট।
৪। এক্সফোলিয়েশনও ক্লিনজ়িংয়ের অংশবিশেষ।ক্লিনজ়িং মুখের ধুলো-ময়লা, তেল পরিষ্কার করে। এক্সফোলিয়েশনে ত্বকের মৃত কোষ ঝরে যায়। ত্বক আরও ভাল ভাবে পরিষ্কার হয়। তবে নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন ত্বকের জন্য ভাল নয়। সপ্তাহে ১-২ দিনই যথেষ্ট।
৫। জলের তাপমাত্রাও ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খুব ঠান্ডা বা খুব গরম, কোনওটিই ত্বকের জন্য ভাল নয়। গরম জলে মুখ ধুলে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। ঘরের তাপমাত্রা বা শীতের দিনে ঈষদুষ্ণ জলে মুখ ধোয়া ভাল।