ষাট হবে কয়েক বছর পরেই। তাও এমন সৌন্দর্য বজায় কী ভাবে রাখেন ভাগ্যশ্রী? ছবি: সংগৃহীত।
আর চারটি বছর পরেই ষাট হবে। দেখলে কে বলবে? ‘ম্যায়নে প্যার কিয়া’-র নায়িকা ভাগ্যশ্রী তখন যেমন ছিলেন, আজও প্রায় তেমনই দেখতে রয়েছেন। গড়ন থেকে মুখের আদল— কোনওটাই তেমন ভাবে বদলায়নি। বরং ৫৬-তে পৌঁছেও রীতিমতো ফিট তিনি। নির্মেদ চেহারা, টানটান ত্বক, একঢাল ঘন কেশ।
এমন রূপের নেপথ্যকথা মাঝেমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নেন ভাগ্যশ্রী। অভিনয়ে এখন আর তাঁকে দেখা যায় না সে ভাবে। তবে সমাজমাধ্যমে তিনি বেশ সক্রিয়। কখনও ব্যায়াম শেখান, কখনও ডায়েট নিয়ে পরামর্শ দেন।
বর্ষা এলেই চুল নিয়ে হাজারো সমস্যা তৈরি হয়। চুল ঝরে পড়া, খুশকির সমস্যা। এই সব কিছুর সমাধান রয়েছে ঘরোয়া উপকরণে, বলছেন ‘ম্যায়নে প্যার কিয়া’-র নায়িকা। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ভাগ্যশ্রী বলেছেন, চুল ঘন এবং মসৃণ করার ৫ ধাপ।
এর জন্য পাঁচ উপকরণ বেছে নেন তিনি। মেথি, কারিপাতা, জবাফুল, পেঁয়াজের রস এবং নারকেল তেল। ভাগ্যশ্রী জানাচ্ছেন, সমস্ত উপকরণ মিশ্রিত তেল রোদে রেখে দিলে বেশি উপকার মেলে। কতটা কাজের এই তেল?
মেথি: মেথিতে রয়েছে ভিটামিন এ, কে, সি, ফোলেট, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন। পুষ্টিবিদ শ্বেতা শাহ বলছেন, ‘‘এতে থাকে নাইটাইনিক অ্যাসিড এবং উচ্চ মাত্রার প্রোটিন, যা চুল ঝরা রোধ করতে সাহায্য করে।’’ এতে থাকা প্রদাহনাশক উপাদান খুশকি বা অন্যান্যা সংক্রমণ প্রতিরোধেও সহায়ক।
কারিপাতা: চুলের পরিচর্যায় কারিপাতার ব্যবহার বহু দিনের। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন এবং খনিজ চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে।
পেঁয়াজের রস: চুল তৈরি হয় কেরাটিন নামক প্রোটিন দিয়ে। কেরাটিন পাওয়া যায় সালফারে। ভিটামিন সি-এর পাশাপাশি পেঁয়াজে মেলে উচ্চ মাত্রায় সালফার। যা চুল ঘন করতে সাহায্য করে। চুল ঝরা রোধ করে।
জবা: জবাফুলের মধ্যে অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে। এটি চুলে কেরাটিন প্রোটিনের উৎপাদন বাড়িয়ে তোলে। ফলে চুলের ঘনত্ব বাড়ে, চুলের গোড়া মজবুত হয়। ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন’-এর তথ্য বলছে, জবাফুলে রয়েছে ভিটামিন ই, ভিটামিন সি। এগুলি চুলের প্রাকৃতিক জেল্লা ধরে রাখে। ফলিকলগুলিও পুষ্টি পায়। নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, ফলে চুল পুষ্টি পায়।
নারকেল তেল: নারকেলে তেলে মেলে ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। যা চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখে।
চুলের যত্নে প্রতিটি উপকরণ নারকেল তেলে ফুটিয়ে নিতে হবে। তার পর মাথায় মালিশ করতে হবে। অপরিচ্ছন্ন চুলে নয়, বরং মাথার ত্বক সব সময় পরিষ্কার করে তার পর হালকা ভাবে তেল মালিশ করতে বলেন কেশসজ্জা শিল্পীরা।