অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায়। ছবি: সংগৃহীত।
দুর্গাপুজো মানেই অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায়ের কাছে ব্যস্ততার মাঝে একটু নিজের জন্য সময় পাওয়া। ছোটবেলার মতো দুর্গাপুজোর কোন দিনে কী পরবেন, সেই নিয়ে এখন আর তেমন মাথাব্যথা থাকে না অভিনেত্রীর। পুজোর দিনগুলিতে সকালবেলা প্যাণ্ডেলে গিয়ে ঠাকুরের সামনে একটু আরাধনা আর দুপুরটায় বাড়িতে বসে আয়েস করতেই পছন্দ করেন তিনি।
তবে সাজগোজে মোটেই পিছিয়ে থাকেন না দিতিপ্রিয়া। হেয়ার স্টাইল হোক কিংবা পোশাক-আশাক— নিজের সাজ নিয়ে সব সময়েই পরীক্ষানিরীক্ষা করতে ভালবাসেন তিনি। পুজোর কেনাকাটা কত দূর? মুচকি হেসে অভিনেত্রী বললেন, ‘‘যে পরিমাণ বৃষ্টি পড়ছে এ বছর, পুজোয় আর কিছু না কিনে দুটো রেনকোটই কিনব ভাবছি।’’
পুজোর কেনাকাটা এখনও শেষ হয়নি দিতিপ্রিয়ার। সারা বছর ধরেই টুকটাক জামাকাপড় কিনতে থাকেন তিনি। অভিনেত্রী বলেন, ‘‘পুজোয় কয়েক দিন শাড়ি পরব ভাবছি। কিছু শাড়ি কিনেছি, তবে আরও কয়েকটা কেনার ইচ্ছে আছে।’’ দিতিপ্রিয়া এক পোশাক একাধিক বার পরতে পারেন। তিনি বলেন, ‘‘পুজোয় হঠাৎ করে এমন জামাকাপড় কিনে ফেললাম, যেটা আর সারা বছর পরতেই পারলাম না, এমনটা আমি করি না। এমন জামা কিনব, যা সব সময়ে পরতে পারব। এক জামা দ্বিতীয় বার পরব না, আমি সেই মানসিকতার মেয়ে নই। ক্লাস সিক্সের জামা আমি এখনও পরি। একই শাড়ি আমি চার বার, চার রকম ভাবে স্টাইল করে বিভিন্ন জায়গায় চলে যাই, কেউ ধরতেই পারে না। কায়দা জানলেই উপায় হয়।’’
হেয়ার স্টাইল হোক কিংবা পোশাক-আশাক— নিজের সাজ নিয়ে সব সময়েই পরীক্ষানিরীক্ষা করতে ভালবাসেন দিতিপ্রিয়া। ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর পাঁচ দিন কেমন সাজবেন? জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘‘আমি কোনও কিছুই আগে থেকে পরিকল্পনা করে রাখি না। এ বছর গণেশপুজোর দিন হঠাৎ সকালে মনে হল মরাঠিদের মতো সাজব। তখন হাতের কাছে মাসির শাড়িটি চোখে পড়ল, সঙ্গে সঙ্গে মায়ের আলমারিতে একটা মানানসই ব্লাউজ়ও পেয়ে গেলাম। গয়নাগাটির জন্য নিজের আলমারিতে ঘাঁটাঘাঁটি করলাম— ব্যস, গণেশপুজোর লুক একেবারে তৈরি! পুজোতেও এ ভাবেই সাজব, আগে থেকে সব গুছিয়ে রাখার সময় পাচ্ছি কই?’’
পুজো মানেই তো প্রিয়জনকে উপহার দেওয়ার পালা। মায়ের জন্য শাড়ি আর গয়নাগাটি কিনবেন অভিনেত্রী। বাবাকেও পোশাকই উপহার দেবেন তিনি। তবে ‘বিশেষ বন্ধুর’ জন্য কী বিশেষ কিনেছেন অভিনেত্রী? লাজুক হেসে দিতিপ্রিয়ার জবাব, ‘‘গোপন কথাটি না হয় গোপনই থাকুক।’’