অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় ব্লাউজ় নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
শহরের বাজারগুলিতে ইতিমধ্যেই পুজোর গন্ধ ম ম করছে। মাস পড়তেই পুজোর কেনাকাটায় বেড়িয়ে পড়েছেন অনেকেই। শাড়ির কেনাকাটা একটু আগেভাগে না করলেই নয়, কারণ শাড়ির সঙ্গে মানানসই ব্লাউজ় কেনা বা বানানোর একটা ঝামেলা থাকে। শাড়ি যতই ভাল হোক না কেন, শাড়ির সঙ্গে যে ব্লাউজ়টি পরবেন, তার কাট আর মাপ যদি ঠিকঠাক না হলেই, ভেস্তে যেতে পারে পুজোর সাজ।
হালফ্যাশনে ব্লাউজ়ের কাটও অফুরান। বোটনেক, ক্রপ ব্লাউজ়, স্লিভলেস, ডিপ নেক, চাইনিজ় কলার, অফ শোল্ডার, সব্যসাচী কাট, আরও কত কী! তবে ব্লাউজ়ের কাট বাছার আগে নিজের শারীরিক গঠনেও নজর দিতে হবে বইকি। তবে সব ধরনের ব্লাউজ় সবার চেহারার সঙ্গে যায় না। জেনে নিন, কোন চেহারায় কেমন ব্লাউজ় পরলে পুজোর মণ্ডপে ভিড়ের মাঝেও সকলের নজর থাকবে আপনার উপরেই।
হাতে মেদ বেশি হলে
হাতে অতিরিক্ত মেদ জমলে হাতাকাটা ব্লাউজ় পরার আগে খানিকটা সচেতন হোন। হাতকাটা ব্লাউজ়ের ফাঁক দিয়ে মেদের স্তর বেরিয়ে এলে দেখতে ভাল লাগে না। সে ক্ষেত্রে কনুই পর্যন্ত হাতাওয়ালা ব্লাউজ় বেছে নিতে পারেন। মেদ আছে বলে ফ্যাশনের সঙ্গে কোনও রকম আপস করার দরকার নেই, এমন ক্ষেত্রে অফ শোল্ডার ব্লাউজ়ও রাখতে পারেন পছন্দের তালিকায়।
গোলগাল চেহারা হলে
শরীরের আনাচকানাচে মেদ জমেছে? সে ক্ষেত্রে ফুলহাতা বা থ্রি কোয়ার্টার হাতার ব্লাইজ় পরলে চেহারায় রোগা ভাব আসবে। তবে খোলা পিঠের ব্লাইজ পরতেই পারেন। কিন্তু পাফ্ড স্লিভ, নুড্ল স্ট্র্যাপ, হল্টার নেক একেবারেই এড়িয়ে চলুন। ব্লাউজ়ের কাপড় বাছাইয়ের সময়ে ছোট নকশার কাপড় বাছাই করতে পারেন।
স্তন ভারী হলে
স্তন ভারী হলে বুকে ঘন এমব্রয়ডারি, জড়ি, পাথরের কারুকাজ রয়েছে এমন ব্লাউজ় না পরাই ভাল। এতে চেহারা আরও বেশি ভারী লাগবে। বদলে একরঙা, হালকা কাপড়ের ব্লাউজ় বেছে নিতে পারে। এ ক্ষেত্রে পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন জর্জেট, ক্রেপ, সাটিনের কাপড়। ভারী স্তন হলে ডিপকাট নেকলাইন কিংবা সব্যসাচী কাটের ব্লাউজ় এড়িয়ে চলুন। তবে কায়দা করতে মন চাইলে পিঠখোলা ব্লাউজ় পরতে পারেন।
স্তনের আকার ছোট হলে
ছিপছিপে চেহারায় সব কিছুই মানিয়ে যায়, এই ধারণা ভুল। অনেকেই ছোট স্তনের কারণে আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভোগেন। ব্লাউজ়ের সামনের অংশ প্যাডেড হলে কিংবা ভারী এমব্রয়ডারি থাকলে, হল্টার নেক, হাইনেক— এমন চেহারার জন্য খুব মানানসই।