নীনা গুপ্ত। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
বেড়াতে যাবেন বলে ট্রলিব্যাগ তো গুছিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু জামা-জুতোর কেনাকাটা কি ঠিকমতো করেছেন কি? পোশাক নির্বাচন কিন্তু শুধু স্টাইলের জন্য নয়। পোশাকের এক দিকে আছে যেমন স্বাচ্ছন্দ্যের প্রশ্ন, অন্য দিকে স্থান অনুযায়ী পোশাক পরার বিষয়টিও। তবে শুধু বেড়াতে গিয়ে কী পরবেন তা নিয়ে মাথা ঘামালে হবে না, বিমান কিংবা ট্রেন সফরে কী পরছেন সেটাও তো ভাবতে হবে! কখনও দীপিকা পাড়ুকোনের জ্যাকেট লুক কখনও আবার অনুষ্কা শর্মার কো-অর্ড সেট— বলিউড অভিনেত্রীদের ‘এয়ারপোর্ট লুক’ নিয়ে অনুরাগীদের মধ্যে চর্চার শেষ নেই। সফরে কী ধরনের পোশাক পরা উচিত, তা নিয়ে সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী নীনা গুপ্ত।
ভিডিয়োতে নীনা বলেছেন, সালোয়ার কামিজই হতে পারে সফরের জন্য আদর্শ পোশাক। সালোয়ার কামিজে ফ্যাশন করাও হবে, আবার বজায় থাকবে স্বাচ্ছন্দ্যও। নীনার মতে, সফরের সময় পোশাক হতে হবে আরামদায়ক এবং এমন পোশাক পরতে হবে, যার বহুমুখী ব্যবহারও করা যায়। সেই দিক থেকে সালোয়ার কামিজ আদর্শ।
পরিচ্ছন্নতায় নজর
নীনার মতে, সফরের সময় সালোয়ারের পা খুব বেশি ঢিলেঢালা হলে চলবে না। সালোয়ারের পায়ের ঘের হতে হবে ১২ ইঞ্চি। বিমান কিংবা ট্রেনের স্নানঘরে ট্রাউজ়ার লুটোপাটি খাবে, এমনটা কখনওই কাম্য নয়, তাই দর্জিকে দিয়ে সালোয়ার শেষভাগের মাপ ১২ ইঞ্চি করিয়ে নিতে হবে। নীনার পরামর্শ, সালোয়ারের পায়ের দৈর্ঘ্য যেন গোড়ালি না ছাড়িয়ে যায়, সে দিকেও নজর রাখতে হবে।
ওড়নার বহুমুখী ব্যবহার
নীনা বলেন সফরের সময় সালোয়ার কামিজের ওড়নাটিকে কিন্তু আপনি নানা কাজে লাগাতে পারেন। যেমন ধরুন, বিমানে বা ট্রেনে চড়ে আপনার ঠান্ডা লাগলে ওড়নাটি গায়ে জডিয়ে নিতেই হল, শাল বা চাদরের দরকার পড়বে না।
নীনার ‘এয়ারপোর্ট লুক’-এ সাবেকিয়ানা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
জুতোয় নজর
সফরের জন্য সালোয়ার কামিজের সঙ্গে নীনা পরেছিলেন জুতি। নীনা বলেন, ‘‘আরও বেশি স্বচ্ছন্দবোধ করতে চাইলে স্নিকার্সও পরে নিতে পারেন সফরের সময়।’’
সফরকালীন পোশাক কেনার আগে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখবেন?
১) কাপড়ের ধরনের উপর জোর দিন
১০-১২ ঘণ্টা ধরে ট্রেনে, গাড়িতে বা বিমানে যাত্রা করতে হলে এমন পোশাক নির্বাচন করুন, যা পরে শরীরে কষ্ট হবে না। কখনও বসে, কখনও শুয়ে থাকা। এত ক্ষণ ধরে যাত্রা করার পর জামাকাপড় কুঁচকে যাওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু কোঁচকানো পোশাক পরে ছবি তুললে, তা দেখতে খারাপ লাগবে। তাই এমন কাপড়ের তৈরি জামা কিনুন, যেগুলি সুতির মতোই আরামদায়ক অথচ সহজে কুঁচকে যায় না।
২) পকেট যেন থাকে
হাতের সামনে টুকিটাকি জিনিস রাখার জন্য সফরকালীন পোশাকে পকেট থাকা আবশ্যিক। না হলে সামান্য মুখশুদ্ধি খাওয়ার ইচ্ছে হলেও আশপাশের যাত্রীদের অসুবিধা করে বড় ব্যাগ খুলতে হবে। লিপবাম, চকোলেট, পরিচয়পত্র— হাতের সামনে রাখতে গেলে পকেট দেওয়া পোশাক বেছে নেওয়া জরুরি। এখন সালোয়ার কামিজেও পকেট থাকে। তাই সেই সেই রকম পকেট দেওয়া সালোয়ার কেনাই ভাল।