বলিউড নায়িকাদের মতোই সৌন্দর্য মিলবে। রূপচর্চার পাশাপাশি কোন খাবার পাতে রাখবেন? ছবিটি আলিয়া ভট্টের। ছবি: সংগৃহীত।
এই ক্রিম মাখছেন, আধ ঘণ্টা যেতে না যেতেই ত্বক রুক্ষ। শীতের মরসুম অনেকেরই বড় প্রিয়। তবে এই সময়ে রুক্ষ হয়ে যাওয়া ত্বক কেউই পছন্দ করেন না। নিয়ম করে তেল মাখা, বার বার ক্রিমের ব্যবহার যেন ঝক্কি বাড়িয়ে দেয়।
ত্বকের অকাল বার্ধক্য ঠেকানো, জেল্লা ধরে রাখার জন্য রূপচর্চা জরুরি। তবে শুধু বাইরে থেকে পরিচর্যা যথেষ্ট নয়। শীতের রুক্ষ ত্বকে সতেজতা ধরে রাখার জন্য প্রয়োজন পুষ্টিরও। পুষ্টিবিদ থেকে রূপটান শিল্পীরা বলেন, ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ খাবার, ফ্যাটি অ্যাসিড এগুলি সবই ত্বক এবং চুল ভাল রাখার জন্য আবশ্যক। তাই পাতে রাখুন এমনই ৫ খাবার।
ঘি: ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে হলে পাতে অল্প পরিমাণ ঘি রাখা দরকার। এতে মেলে ফ্যাটি অ্যাসিড। ত্বকের যত্নে অনেকে ঘি মাখেনও। এক চামচ ঘি খেলে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট যেমন শরীরে যাবে তেমনই প্রোটিনও মিলবে। পেটের পক্ষেও তা ভাল। লিভারের সমস্যা, হজমের গন্ডগোল না থাকলে নিয়ম করে এক চা-চামচ ঘি খাওয়া যেতেই পারে। শীতের দিনে শরীর গরম রাখতেও ঘি ভাল। ভাত, স্যুপ, ডালে এক চামচ ঘি মিশিয়ে খেতে পারেন।
পালংশাক: আয়রন, ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর পালংশাক। আয়রন রক্ত সঞ্চালনের জন্য জরুরি। আয়রন কোষে অক্সিজেন সংবহনেও সাহায্য করে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট দূষণ, ক্ষতিকর অতি বেগনি রশ্মির হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সাহায্য করে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। এতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধকারী এবং ত্বকের জেল্লা ফেরাতে কার্যকর। তবে পালংশাকের উপকারিতা পেতে স্মুদিতে মিশিয়ে বা পালং হালকা ভাপিয়ে সাঁতলে খেতে পারেন। বেশি তাপমাত্রায় এবং তেল-মশলা দিয়ে রাঁধলে শাকের পুষ্টিগুণ কমে যায়।
আমলকি: ফলটির ভেষজ গুণ যথেষ্ট। এখন অনেকেই খালি পেটে আমলকির রস খান। তবে রসের পরিমাণ ১০ মিলিগ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়। আবার আমলকি রোদে শুকিয়েও খেতে পারেন। এতে সর্দিকাশি দূরে থাকে। আমলকিতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি। এই উপাদানটি দেহে ফ্রি র্যাডিক্যালের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ফলে ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ পড়ে না। সংক্রমণের হাত থেকেও বাঁচায় আমলকি।
কমলালেবু: ত্বকের যত্নে ভিটামিন সি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কমলালেবু ভিটামিন সি-র অন্যতম উৎস। শুধু রোগ প্রতিরোধে নয়, ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় কমলালেবুর রস অত্যন্ত জরুরি। বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর এই কমলালেবুর রস নিয়মিত খেলে ত্বকের উপর বয়সের ছাপ কমিয়ে ফেলা যায়। ভিটামিন সি ছাড়াও কমলালেবুতে রয়েছে ভিটামিন এ, বিভিন্ন বি ভিটামিনের সমষ্টি। এ ছাড়াও পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামে ভরপুর কমলালেবুর রস ত্বকে কোলাজেন সিন্থেসিসে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এই কোলাজেন হল এমন একটি প্রোটিন, যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ সহজে পড়তে পারে না।
কাঠবাদাম: কাঠবাদামে রয়েছে ভিটামিন ই, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। ভিটামিন ত্বক মোলায়েম রাখতে এবং বলিরেখা দূর করতেও সাহায্য করে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শুধু মস্তিষ্কের বিকাশে কার্যকর নয়, ত্বকের বর্ম হিসাবেও কাজ করে। শীতে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। ফ্যাটি অ্যাসিড আর্দ্রতা ধরে রাখাতে সাহায্য করে। নিয়ম করে ৫-৬টি ভেজানো কাঠবাদাম খেলে শরীর-ত্বক দুই ভাল থাকবে।