বিশেষ প্রাকৃতিক তেল দিয়ে মাথা মাসাজ করে দেখুন। ছবি: সংগৃহীত।
মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য প্রাকৃতিক তেল দিয়ে মাসাজের তুলনা হয় না। নারকেল তেল, পেঁয়াজের তেল, অলিভ অয়েল, ভৃঙ্গরাজ তেল, আমলকির তেলের জনপ্রিয়তা নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু এই তালিকার বাইরেও এমন কিছু তেলের সন্ধান আপনার নাগালেই রয়েছে, যেগুলির দিকে মনোযোগ দেননি কখনও। তেমনই একটি আঙুর বীজের তেল। আঙুর বীজের তেল কেন ব্যবহার করবেন, কী ভাবে ব্যবহার করবেন, জেনে নিন।
আঙুর বীজের তেলের উপকারিতা
আঙুর বীজের তেল হারিয়ে যাওয়া ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনে চুলে। একই সঙ্গে কোমল, মসৃণ করে তোলে। আঙুর বীজের তেলের হালকা গঠন এবং পুষ্টিগুণ চুলের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ কার্যকরী। চুলকে ময়শ্চারাইজ় করার ক্ষমতা রয়েছে এই তেলের। ফলে রুক্ষ, শুষ্ক ও কোঁকড়ানো চুলকে রেশমের মতো মোলায়েম করতে পারে। ভিতর থেকে চুলকে কিছুটা আর্দ্র করে তুলতে পারে। মাথার ত্বকের চুলকানিও কমতে পারে। ময়শ্চারাইজ় করে রাখতে পারে বলে এই তেল মাখলে খুশকির দাপট কমার সম্ভাবনা রয়েছে। মাথার ত্বকে এই তেল মাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালনও উন্নত হয়, ফলে চুল তুলনায় দ্রুত গজাতে পারে।
মাথার ত্বকে এই তেল মাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালনও উন্নত হয়, ফলে চুল তুলনায় দ্রুত গজাতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
কোন কোন পুষ্টিগুণে ভরা আঙুর বীজের তেল?
আঙুর বীজের তেল গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর। সেগুলির মধ্যে লাইনোলিক অ্যাসিডের উপস্থিতির কারণে চুলের ভাঙন ধরা কমে, গোড়া মজবুত হয় এবং স্প্লিট এন্ডস অর্থাৎ চুলের আগা ফেটে যাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই তেলে ভিটামিন ই-এর ঘনত্ব অনেকখানি বেশি। পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকায় চুলকে পরিবেশগত ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়াও রয়েছে ক্যারোটিনয়েড এবং পলিফেনল। প্রদাহ নাশ করে মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান এগুলি।
আঙুর বীজের তেলের সীমাবদ্ধতা
আঙুর বীজের তেল ব্যবহারে কেবল একটিই সমস্যা। যাঁদের চুল প্রবল ভাবে শুষ্কতার সঙ্গে লড়াই করছে, তাঁদের জন্য এই তেল উপকারী না-ও হতে পারে। আঙুর বীজের তেল হালকা প্রকৃতির। তাই ভীষণ শুষ্ক চুলে যথেষ্ট পরিমাণে আর্দ্রতা প্রদানে সক্ষম নয়। সে ক্ষেত্রে নারকেল তেল এবং অলিভ অয়েলই উপযুক্ত।