চুল রং করতে কফিতেই ভরসা! কফি মাখলে কী হয়? ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
চুল রং করার প্রাকৃতিক উপাদান খুঁজতে গেলে হেনার পাশাপাশি নাম আসে কফিরও। অনেকে আবার রং করতে বিটের রসও ব্যবহার করেন। কিন্তু কফি দিয়ে কি আদৌ পাকা বা ধূসর চুল কালো হয়? চুলের জন্য তা কি ভাল?
চুলে রং করার নানা পন্থা আছে। তার মধ্যে কফি নিয়ে ইদানীং চর্চা বেড়েছে। কড়া করে কফি তৈরি করে তা মিশিয়ে নিতে হয় কন্ডিশনারে। শ্যাম্পু করা চুল তোয়ালে দিয়ে মুছে এই মিশ্রণ লাগিয়ে দিতে হয় চুলে। আধ ঘণ্টা রেখে তা ধুয়ে ফেলতে হয়। কফির যে নিজস্ব রং আছে সেটি পাকা চুল ঢাকতে সাহায্য করে। বার বার এটি ব্যবহার করলে সাদা চুলে গাঢ় বাদামি ভাব আসে। তবে প্রাকৃতিক রং দীর্ঘস্থায়ী হয় না কখনই।
চুলের জন্য ভাল কি?
কফির গুণে চুল হবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল সমাজমাধ্যমে এমন দাবি করেন অনেকেই। মাথার কিন্তু তা কতটা ঠিক? ২০২৩ সালে ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রের তথ্য বলছে, কফি হেয়ার ফলিকল মজবুত করতে সাহায্য করে। চুল ঝরার নানা কারণ এবং ধরন হয়। কফি বিশেষ ধরনের চুল ঝরার মাত্রা কমাতে পারে। ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরন হরমোন অনেক সময় চুল ঝরার জন্য দায়ী হয়। কফি এই হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কফি বীজ নিয়ে একাধিক গবেষণা হয়েছে। তাতেই দেখা গিয়েছে ক্যাফিন মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধিতে, চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।
সতর্কতাও জরুরি
উপকারী হলেও ব্যবহারবিধি জরুরি। যেহেতু কফির রং বেশি দিন চুলে স্থায়ী হয় না, তাই বার বার ব্যবহারের দরকার হয়। কিন্তু ঘন ঘন কফির ব্যবহার চুল রুক্ষ করে দিতে পারে। ডগা ফাটার সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলছে, কফি আদতে একটি খাবার। চুল রং করার উপাদান নয়। তাই কফি ব্যবহার করে চুল ধোয়া, ঘন ঘন চুলের যত্নে কফির ব্যবহার ঠিক নয়।
চুলের পরিচর্যায় কফি মাস্ক
উপকরণ
২-৩ টেবিল চামচ টক দই
১ টেবিল চামচ কফি
১ টেবিল চামচ নারকেল তেল
পদ্ধতি: সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে শ্যাম্পু করা ভিজে চুলে ক্রিমের মতো লাগিয়ে রাখতে হবে। মিনিট ১৫ পরে ধুয়ে নিলেই হবে।