চুল ধোয়ার নতুন নিয়ম। ছবি: সংগৃহীত।
বেশি তেলেও সমস্যা, কম তেলেও সমস্যা। বেশি শ্যাম্পুতেও বিপদ, কম শ্যাম্পুতেও ঝুঁকি। খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়া মানে যুদ্ধে জয় হওয়া। আর সেখানে জয়লাভ করার সম্ভাবনা খুবই কমে যায় অনেকের ক্ষেত্রে। অন্য দিকে চুল ঝরে পড়া আর পাক ধরার সমস্যাতেও ভুগতে হয় অনেককে। আর তাঁদের জন্যই বিশেষ টোটকা শেখালেন কেশসজ্জাশিল্পী জাওয়েদ হবীব। চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই বাজারজাত ৪-৫ রকমের শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, সিরাম, হেয়ারমাস্ক, ট্রিটমেন্টের উপর ভরসা করেন। কিন্তু কেশসজ্জাশিল্পীর দাবি, সমাধান লুকিয়ে রয়েছে খুব সহজ রুটিনে। যাতে রয়েছে মাত্র চার ধাপ।
এই রুটিনের নাম মিল্ক কন্ডিশনিং। শুনে মনে হতে পারে, দুধ দিয়ে কেশচর্চা করতে হবে। কিন্তু অত বিলাসবহুল নয় জাওয়েদের এই কৌশল। ঘরোয়া সাধারণ জিনিসেই তা সম্ভব। রইল ধাপগুলি—
কেশচর্চার খুঁটিনাটি জানালেন জাওয়েদ হবীব। ছবি: সংগৃহীত।
১. মাথা ধুয়ে নিন- মাথায় জমে থাকা ধুলোবালি ধুয়ে ফেলার জন্য পরিষ্কার জল দিয়ে চুল ধুয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন কেশসজ্জাশিল্পী।
২. তেল মেখে নিন- সহজলভ্য যে কোনও তেল নিয়ে আলাদা আলাদা করে চুলের আগা পর্যন্ত মেখে নিন। মাথার ত্বকে মাসাজ না করাই ভাল। খুব জোরে জোরে মালিশ না করে চিরুনি দিয়েও তেল সারা মাথায় ছড়িয়ে দিতে পারেন।
৩. তেল রেখে দিন- ৫ মিনিটের জন্য মাথায় রেখে দিন তেল। বেশি ক্ষণ থাকলে মাথার ত্বক তেলচিটে হয়ে যেতে পারে। কিন্তু মিনিট পাঁচেকের এই সময়ের মধ্যে চুলগুলির উপর আস্তরণ তৈরি করে দিতে সক্ষম তেল।
৪. প্রাকৃতিক ক্লিনজ়ার ব্যবহার করুন- এর পর শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন, আবার প্রাকৃতিক ক্লিনজ়ারও ব্যবহার করতে পারেন। এতে উপকার বেশি। শিকাকাইয়ের মতো উপাদান নিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে বাজারজাত পণ্যের রাসায়নিক উপাদান মাথার ত্বকের সংস্পর্শে আসবে না, উপরন্তু প্রাকৃতিক ক্লিনজ়ার চুলের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে পারে।
জাওয়েদের মতে, চুলের নানাবিধ সমস্যা শুরু হয় মাথা নোংরা হয়ে থাকলে। তাই প্রতি দিন রাসায়নিক ব্যবহার না করেই চুল ধুয়ে ফেললে, মাথা পরিষ্কার রাখলেই সব সমস্যার সমাধান হতে পারে।