পুজোর আগে কী ভাবে ফেরাবেন মুখের জেল্লা? ছবি: সংগৃহীত।
সৌন্দর্যের চাবিকাঠি লুকিয়ে ত্বকে। ত্বক উজ্জ্বল, সুন্দর থাকলে তা প্রতিফলিত হয় সাজগোজেও। আর ত্বকের জেল্লা ফেরানোর কথা উঠলে অনিবার্য ভাবে এসে পড়ে ফেসিয়ালের কথাও। দাগ-ছোপ দূর করা থেকে নিষ্প্রাণ ত্বকে জেল্লা ফেরানো— এক এক ফেসিয়ালের এক এক কাজ।
সেই তালিকায় দু’টি নাম বহু দিন ধরেই শোনা যায়, ডিট্যান এবং স্কিন ব্রাইটনিং ফেসিয়াল। পুজোর আগে নজরকাড়া হয়ে উঠতে কোনটি করবেন?
ডিট্যান এবং ব্রাইটনিং ফেশিয়াল
নামেই প্রকাশ, ডিট্যান ফেশিয়াল মুখের ট্যান তোলার জন্যই করানো হয়। রোদে তাপে হওয়া কালচে দাগ বা ট্যান সৌন্দর্য নষ্ট করে। ফেসিয়ালে সেই দাগ তোলার চেষ্টা হয়। অন্য দিকে, ব্রাইটনিং ফেশিয়ালের লক্ষ্যই হল ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলা। এক অর্থে, দুই ধরনের ফেশিয়ালের কাজই মুখের দাগছোপ তোলা, অসমান বর্ণে সামঞ্জস্য আনা। তবে কিছু তফাৎ থাকেই।
ডিট্যান ফেসিয়াল
সমুদ্র সৈকতে গেলে, দিনভর রোদে ঘোরাঘুরি করলে— মুখে ট্যানের সমস্যা হয়। কারও কারও মুখে পিগমেন্টেশনও তৈরি হয়। সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি মেলানিনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। মেলানিন জমে পিগমেন্টেশন হয়। ডিট্যান ফেশিয়ালের লক্ষ্যই হল মুখের কালচে দাগছোপ, যেমন ট্যান, পিগমেন্টেশন তোলা। কালো অংশগুলিকে হালকা করা, ত্বকের বলিরেখা দূর করা। ট্যান এবং পিগমেন্টেশন হালকা হলে বা উঠে গেলে মুখ উজ্জ্বল দেখায়।
সাধারণত, ভিটামিন সি, ফলে থাকা অ্যাসিড, পাতিলেবুর নির্যাস— ট্যান তুলতে ব্যবহার করা হয়। এই ফেশিয়ালের লক্ষ্যই হল, ত্বক খুব ভাল করে ক্লিনজ়িং এবং স্ক্রাবিং করা। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা।
ব্রাইটনিং ফেশিয়াল
ব্রাইটনিং ফেশিয়ালের লক্ষ্য, দাগছোপ দূর করে মুখ উজ্জ্বল করে তোলা। এই ফেসিয়ালও ত্বকে কালচে বর্ণ, অসমান রং দূর করে মুখের বর্ণে সমতা আনতে সাহায্য করে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের ব্যবহারে ত্বক পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা হয় এমন ফেশিয়ালে। এক্সফোলিয়েশন বা স্ক্রাবিংয়ের মাধ্যমে মৃত কোষ ঝরিয়ে ফেললে, ত্বক উজ্জ্বল হয়। মাসাজ়ে রক্তসঞ্চালন ভাল হয়। অক্সিজেন ফেসিয়াল, এলইডি লাইট থেরাপি— মুখে দ্রুত ঔজ্জ্বল্য আনতে এগুলি যথেষ্ট জনপ্রিয়। অক্সিজেন ফেশিয়াল ত্বককে আর্দ্র রাখে, ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলে। এই ধরনের ফেশিয়ালে অক্সিজেনের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং ত্বকের উপযোগী উপাদান ব্যবহার করা হয়। যার প্রভাবে ত্বকের জৌলুস ফিরে আসে। অক্সিজেনের ব্যবহার, মাসাজের ফলে বলিরেখা কমে। ব্রণ সারাতেও এটি কার্যকর।
দৈনন্দিন রোদে যাতায়াত কিংবা সুমদ্র সৈকতে বেড়াতে যাওয়ার ফলে মুখে ট্যান পড়লে ডিট্যান ফেশিয়াল ভাল। এক বার বা দু'বার ফেশিয়ালটি করে দাগ হালকা হয়ে গেলে তার পর ব্রাইটনিং ফেশিয়াল করতে পারেন। তবে মনে রাখা দরকার, ফেশিয়াল করানো মানেই রাতারাতি ত্বকের সমস্ত সমস্যার সমাধান নয়। অনেক সময় দাগ তুলতে একাধিক বার ফেশিয়ালের দরকার হয়। ফলাফল পেতে গেলেও সময় লাগে। ফেশিয়াল করানোর পাশাপাশি নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেওয়াও জরুরি।