ওয়াটারপ্রুফ আই মেকআপ ব্যবহার করার কিছু নিয়ম। ছবি: ফ্রিপিক।
সামনেই পুজো। চোখের মেকআপের জন্য নানা রকম প্রসাধনী কিনছেন নিশ্চয়ই। তার মধ্যে জলরোধী বা ওয়াটারপ্রুফ আই মেকআপও রয়েছে। এখন অনেকে ওয়াটারপ্রুফ আই মেকআপই ব্যবহার করেন বেশি। প্রতি দিন তা চোখেও লাগান। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, জলরোধী প্রসাধনী ব্যবহার করলে চোখের ঠিকমতো যত্নও নিতে হবে। না হলে মেকআপ চোখে ঢুকে বড়সড় ক্ষতি হতে পারে।
জলরোধী চোখের মেকআপ ব্যবহার করলে কী কী সতর্কতা নেবেন?
প্রসাধনী সাধারণত দু’রকমের হয়— সাধারণ এবং স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য। যাঁদের ত্বকে অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা বেশি, তাঁদের প্রসাধনী কেনার ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে সতর্ক হওয়া উচিত। যে কোনও জিনিসই দেখতে ভাল লাগলেই কিনে ফেলার অভ্যাস যদি থাকে, তবে এ ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে। জলরোধী চোখের মেকআপ যেমন আই লাইনার বা মাস্কারা রোজ ব্যবহার না করে, সাধারণ মেকআপই ব্যবহার করা ভাল।
ওয়াটারপ্রুফ মাস্কারা ও আই লাইনারে এমন কিছু রাসায়নিক থাকে যা থেকে চোখের পাতায় ও চোখের চারপাশের ত্বকে সংক্রমণ ঘটতে পারে। এই রাসায়নিক দিনের পর দিন চোখে ঢুকলে চোখ লাল হয়ে ফুলে উঠতে পারে। তাই বেশি ক্ষণ এমন মেকআপ লাগিয়ে রাখবেন না। রাতে শোয়ার আগে অবশ্যই মেকআপ তুলতে হবে। সেগুলি তোলার সময়ে অ্যালকোহলমুক্ত রিমুভার ব্যবহার করা উচিত।
সাধারণ আই মেকআপ রিমুভার দিয়ে ঘষে ওয়াটারপ্রুফ মেকআপ তোলা যাবে না। খুব বেশি ঘষলে চোখের ক্ষতি হতে পারে। তাই এই ধরনের প্রসাধনী তোলার রিমুভারই ব্যবহার করতে হবে। তুলোর মধ্যে তৈলাক্ত কোনও ক্লিনজ়ার নিয়ে আগে কাজল, লাইনার বা মাস্কারা তুলে নিন। তার পর ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
রোজ আই মেকআপ ব্যবহার করলে চোখের তলা ও চারপাশে কালচে ছোপ পড়তে পারে। তাই রাতে শুতে যাওয়ার আগে মেকআপ তুলে ময়েশ্চারাইজ়ার দিয়ে আলতো করে চোখের নীচে ও চারপাশে মালিশ করে নিন।
আই মেকআপ ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করাও জরুরি। চোখে ব্যবহারের আগে সামান্য একটু হাতে লাগিয়ে দেখে নিন কোনও রকম অ্যালার্জি হচ্ছে কি না। যদি দেখেন ত্বকে চুলকানি হচ্ছে বা লাল হয়ে ফুলে উঠছে ত্বক, তা হলে সেই মেকআপ ব্যবহার না করাই ভাল।