রোজ রোজ গরম জল মাথায় ঢাললে চুলের কতটা ক্ষতি হবে? ছবি: ফ্রিপিক।
শীত এলেই গিজ়ার চালিয়ে প্রচণ্ড গরম জলে স্নান করতে শুরু করেন অনেকেই। ঠান্ডার সময়ে গরম জলে স্নান করলে আরাম লাগে তা ঠিক। তবে অতিরিক্ত গরম জল যেমন ত্বকের ক্ষতি করে, তেমনই চুলেরও। রোজ রোজ অতিরিক্ত গরম জল মাথায় ঢাললে, মাথার ত্বক শুষ্ক তো হবেই, খুশকির সমস্যাও বাড়বে।
শীতের সময়ে এমনিতেও মাথার ত্বক শুকিয়ে গিয়ে চুলকানি, র্যাশ হয় অনেকের। চুলের ডগা ফাটার সমস্যাও দেখা দেয়। তার উপরে গরম জল ঢাললে চুলের বারোটা বেজে যাবে।
ফুটন্ত গরম জলে স্নান করলে মাথার ত্বকের নিজস্ব সেবাম নষ্ট হয়। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে।বেশি গরম জলে স্নান করলে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়।
কেমন জলে স্নান করা ভাল?
চুল ভাল রাখতে ঠান্ডা জলে স্নান করা ভাল। কিন্তু এতে ত্বক এবং চুল দুই-ই ভাল থাকবে। যদি ঠান্ডা লাগার ধাতা থাকে, তা হলে উষ্ণ জলে স্নান করতে পারেন। জলের তাপমাত্রা যেন কম থাকে। তা হলে চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় থাকবে। চুল পড়ার পরিমাণও কমবে।
কী ভাবে চুলের যত্ন নেবেন?
গরম জল মাথায় ঢেলে যদি চুল রুক্ষ হয়ে যায়, তা হলে ঘরোয়া কিছু উপায়ে চুলের যত্ন নিতে পারেন। নারকেল তেল চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ধরে রাখতে সবচেয়ে কার্যকরী। বেশি খাটতে না চাইলে নারকেল তেল হালকা গরম করে নিয়মিত মাথায় মালিশ করুন।
১ কাপ দই, ১ চা চামচ মধু ও ১ চা চামচ অ্যাপল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করুন। চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত মালিশ করুন এই মাস্ক। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
একটি কাচের পাত্রে ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল, ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ১ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল এবং আর্গান অয়েল মিশিয়ে নিন। তেলের পাত্রটি গরম জলে কিছুক্ষণ বসিয়ে রাখুন। হালকা গরম হলেই তা চুলে মালিশ করুন। আধ ঘণ্টা মতো রেখে ধুয়ে নিন।
একটি বা দু'টি পাকা কলা, ১ চা চামচ নারকেল তেল, ১ চা চামচ মধু ও ১ চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করুন। পুরো চুলে এই মাস্ক লাগিয়ে রাখুন ৫ মিনিট। ২০ মিনিট মতো রেখে ভেষজ কোনও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।