দূষণ থেকে চুল বাঁচানোর উপায় কী? ছবি: ফ্রিপিক।
বায়ু দূষণ যেমন ফুসফুসের ক্ষতি করে, তেমনই চুলের জন্যও ক্ষতিকর। বাতাসে ভাসমান দূষণবাহী কণা চুলের গোড়া দুর্বল করে দেয়। ফলে চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে। ‘অ্যানালিটিকাল কেমিস্ট্রি’-তে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, বাতাসে কার্বন ও সালফারের মাত্রা বেশি হলে তা চুলের গোড়ায় থাকা প্রোটিন নষ্ট করবে। মাথার ত্বকের প্রদাহ বৃদ্ধি করবে, ফলে চুল রুক্ষ হবে ও চুল পড়ার সমস্যা বাড়বে।
দূষণ থেকে চুল বাঁচানোর উপায় কী?
এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে যাতে সালফেটের মাত্রা কম। চুলে গ্রিন টি ব্যবহার করলেও উপকার হবে। ২ কাপ গরম জলে ২-৩টি গ্রিন টি ব্যাগ ডুবিয়ে রাখুন। শ্যাম্পু করার পরে গ্রিন টি দিয়ে চুল ধুলে উপকার হবে। গ্রিন টিয়ের সঙ্গে মধু মিশিয়েও মাখতে পারেন। তাতেও রুক্ষ চুল নরম হবে।
দূষণের কারণে চুল যে আর্দ্রতা হারায়, তা ফিরিয়ে আনতে সপ্তাহে একবার মধু-নারকেল তেলের মতো ডিপ কন্ডিশনিং হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন।
দূষণ থেকে চুল বাঁচাতে পর্যাপ্ত জলও খেতে হবে। ভিটামিন, প্রোটিন, বায়োটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং আয়রন-সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে যা চুলের গোড়া মজবুত করবে।
কয়েক রকম হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। পাকা কলা চটকে নিন। খেয়াল রাখবেন, যেন কোনও দলা না থাকে। এর সঙ্গে মিশিয়ে নিন ফেটানো টক দই এবং অলিভ অয়েল। সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে শ্যাম্পু করা পরিষ্কার চুলে মিশ্রণটি মাখতে হবে। মাথার ত্বক থেকে চুলের ডগা পর্যন্ত তা ভাল ভাবে মেখে হালকা হাতে মালিশ করুন। মিনিট ২০ রেখে ঈষদুষ্ণ জলে চুল ভাল করে ধুয়ে নিন।
চুলের যত্নে আমলকির ব্যবহার বহু পুরনো। ভিটামিন সি, ই এবং রকমারি খনিজে ভরপুর ফলটি চুল ঝরা, অকালপক্বতা, খুশকি রোধে সহায়ক। ভিটামিনের গুণেও চুলও লম্বা হয় তাড়াতাড়ি। চার চামচ আমলকির পাউডার, ১ চামচ মধু, ২ চামচ টক দই মিশিয়ে নিন। রুক্ষ, ডগা ফাটা চুলের জন্য এই ধরনের মাস্ক খুব উপকারী। মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি, ম্যাগনেশিয়াম, জ়িঙ্ক। চুলকে ময়েশ্চারাইজ় করতে সাহায্য করে মধু। দই চুলকে নরম করতে সাহায্য করে।