কতখানি সানস্ক্রিন মাখা উচিত? ছবি: সংগৃহীত।
পর্যাপ্ত পরিমাণে সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন না অনেকেই। কেউ আঙুলের ডগায় এক ফোঁটা নিয়ে মুখে মাখেন, কেউ বা সারা মুখে বিন্দু বিন্দু বসিয়ে ঘষে নেন। কেউ ভাবেন, অতিরিক্ত মাখলে হিতে বিপরীত হবে, কেউ বা খরচের কথা ভেবে যৎসামান্য ব্যবহার করেন। আসলে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে কতখানি সানস্ক্রিন প্রয়োজন, তা অনেকেই জানেন না। আর এখানেই সহায় হয়ে উঠতে পারে বেঙ্গালুরুর চর্মরোগ চিকিৎসক প্রিয়ঙ্কা রেড্ডির পরামর্শ।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে চিকিৎসক এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন। ত্বকের নানাবিধ সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে সানস্ক্রিনের ব্যবহার সুপারিশ করছেন তিনি। উপরন্তু তিনি জানাচ্ছেন, সারা মুখে কতখানি সানস্ক্রিন মাখবেন, তার নির্দিষ্ট পরিমাণ রয়েছে। যেমন খুশি ব্যবহার করা যায় না। সারা মুখে মাখলে কতখানি প্রয়োজন, গলায় এবং ঘাড়ে মাখলে কতখানি নেবেন, তার নির্দিষ্ট পরিমাণ জেনে নিয়ে ব্যবহার করুন।
কতখানি সানস্ক্রিন মাখবেন? ছবি: সংগৃহীত।
সানস্ক্রিনের পরিমাণ নিয়ে কী বলছেন চিকিৎসক?
প্রিয়ঙ্কার বক্তব্য, হাতের দু’টি আঙুল, তর্জনী এবং মধ্যমার আগা থেকে ডগা পর্যন্ত সানস্ক্রিন নিতে হবে। যেন সরু রেখার মতো আঙুলের মাঝ বরাবর লম্বাওল্মবি ভাবে নীচ থেকে উপরে উঠবে (অথবা উপর থেকে নীচে নামবে)। ঠিক সেই পরিমাণ সানস্ক্রিনই মুখে ও গলায় মাখতে হবে। যদি আপনি ঘাড়ে ও কানের পিছনে ব্যবহার করতে চান, তা হলে দুইয়ের বদলে তিনটি আঙুলে সানস্ক্রিন নিতে হবে। অর্থাৎ সে ক্ষেত্রে অনামিকা যোগ হয়ে যাবে। যাঁদের চুল ছোট, তাঁদের ঘাড়ের পিছনের জায়গাটি উন্মুক্ত থাকে। কালো দাগ বা ছোপ এড়াতে সেখানেও সানস্ক্রিন মাখা দরকার।
চিকিৎসকের কথায়, ‘‘আপনি রোদে বেরোন বা না বেরোন, সানস্ক্রিন মাখা উচিত। তার কারণ, রোদে না বেরোলেও সারা দিন ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ফোনের সামনে থাকতে হলে সানস্ক্রিন মেখে রাখা উচিত। সূর্যের আলোর পাশাপাশি ত্বকের ক্ষতি করতে পারে স্ক্রিনের নীল আলো।’’