ছবি : সংগৃহীত।
মুখের পরিচর্যার জন্য নানা ধরনের টোটকা, ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি মাস্ক ব্যবহার করেন অনেকেই। এতে ত্বকের রং উজ্জ্বল হয়। কালচে ছোপ, রোদে পোড়া ভাবও দূর হয়। অনেকেরই মুখের মতো ঘাড়ে এবং গলাতেও কালচে ছোপ পড়ে। কখনও মৃত কোষ বা ময়লা জমে, কখনও বা নানা হরমোনজনিত সমস্যা থেকে। দ্বিতীয় কারণটির ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া বাঞ্ছনীয়। তবে প্রথমটির ক্ষেত্রে কিছু কার্যকরী প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রশ্ন হল, মুখের জন্য যে প্যাক ব্যবহার করা হয়, ঘাড় এবং গলাতেও কি তা-ই ব্যবহার করবেন? মুখের ত্বকের মতো ঘাড় এবং গলার ত্বকে ঔজ্জ্বল্য ফেরাতে চাই কিছু বাড়তি।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
উপকরণ: বেসন ২ চামচ, মুসুর ডাল বাটা ২ টেবিলচামচ, হলুদ গুঁড়ো ১/২ চামচ, টক দই বা কাঁচা দুধ প্রয়োজনমতো এবং লেবুর রস ৫-৬ ফোঁটা
প্রণালী: একটি বাটিতে বেসন, হলুদ গুঁড়ো, মুসুর ডাল বাটা এবং লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে নিন। এবার পরিমাণমতো টক দই বা কাঁচা দুধ মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন। খেয়াল রাখবেন পেস্টটি যেন খুব পাতলা না হয়ে যায়। মিশ্রণটি আপনার ঘাড় ও গলার ত্বকে ভাল ভাবে লাগিয়ে নিন। কালচে অংশে একটু ঘষে ঘষে মাসাজ করে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে সামান্য জল দিয়ে বৃত্তাকারে ঘষে পরিষ্কার করুন। সবশেষে সাধারণ জল দিয়ে ঘাড় ও গলা ভালোভাবে ধুয়ে নিন এবং নরম তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন।
প্যাকটি কেন উপকারী?
বেসন: ত্বকের অতিরিক্ত তেল, ময়লা এবং মৃত কোষ দূর করে।
হলুদ: এতে প্রদাহনাশক উপাদান এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকায় ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে। যেকোনো দাগ হালকা করতে সাহায্য করে।
মুসুর ডাল: এটি ভিটামিন বি সমৃদ্ধ। এতে পটাশিয়ামও রয়েছে। যা কালচে ছোপ দূর করতে সাহায্য করে। হাইপার পিগমেন্টেশন দূর করতে সাহায্য করে। উজ্জ্বল ত্বক পেতে বহু যুগ ধরে মুসুর ডাল ব্যবহার করা হয়ে আসছে ত্বকে।
টক দই/দুধ: ত্বককে আর্দ্র রাখে। দইয়ে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বককে মৃতকোষ মুক্ত করতে সাহায্য করে।
লেবুর রস: এটি একটি প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং কালচে ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
সতর্কতা
তবে যেহেতু এই প্যাকে লেবুর রস ব্যবহার করা হবে, তাই এটি ব্যবহার করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরাসরি রোদে না যাওয়াই ভাল। কারণ তাতে লাভের চেয়ে ক্ষতি হতে পার বেশি। প্যাকটি সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করতে পারেন।