ওষ্ঠাধর-যত্নের রুটিন মেনে চলুন। ছবি: সংগৃহীত।
মুখমণ্ডলের সৌন্দর্যবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রয়েছে ঠোঁটের। তবে কেবল লিপস্টিক পরে সাজিয়ে রাখলেই ঠোঁটের যত্ন নেওয়া হয় না। তাতে বরং ক্ষতি হতে থাকে। উপরন্তু পরিবেশ দূষণ, ধূমপান, ঋতু পরিবর্তন, ইত্যাদি কারণে ঠোঁট তার আর্দ্রতা এবং স্বাভাবিক রং হারায়। ঠোঁটে গোলাপি আভা আনতে তাই মেনে চলতে হবে ৭টি নিয়ম। এক-দু’দিন নয়, রোজ ওষ্ঠাধর-যত্নের রুটিন স্থির করে নিন। ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে তবেই জেল্লা ফিরবে ঠোঁটে।
১। বাড়িতে বানানো স্ক্রাব দিয়ে ঠোঁট পরিষ্কার করতে হবে নিয়মিত। এক্সফোলিয়েশনের মাধ্যমেই ঠোঁটের চেহারা ফিরতে পারে। তার জন্য প্রয়োজন চিনি, মধু আর অলিভ অয়েল। ধীরে ধীরে এই মিশ্রণটি দিয়ে আলতো করে ঘষতে হবে ঠোঁটের উপর। এতে মৃত ত্বকের কোষ ঝরে পড়বে আর কোমলতা ফিরবে।
২। রোজ সকালে দাঁত মাজার সময়ে নরম ব্রিস্লযুক্ত ব্রাশ দিয়ে ঠোঁটের উপর বুলিয়ে নিতে হবে। তাতে রোজ এক বার করে এক্সফোলিয়েশনের কাজ হয়ে যাবে। তা ছাড়া রক্ত চলাচল উন্নত হবে।
বাড়িতে বানানো স্ক্রাব দিয়ে ঠোঁট পরিষ্কার করতে হবে নিয়মিত। ছবি: সংগৃহীত।
৩। ঠোঁটের খসখসে ভাব দূর করতে হলে অবশ্যই আর্দ্রতা ধরে রাখা দরকার। আর সে জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া দরকার। এতে সামগ্রিক ভাবে শরীর ও ত্বক আর্দ্র হবে। শরীরে জলের অভাব হলেই ঠোঁট ফাঁটার সমস্যা দেখা যায় বেশি।
৪। ঠোঁট ফেটে গেলে অনেকেই জিভ দিয়ে ভিজিয়ে নেন। এতে সাময়িক ভাবে সাদা ভাব দূর হয়ে যায় বটে, কিন্তু এতে ঠোঁটের স্বাস্থ্য আরও খারাপ হয়। থুতু আরও বেশি পরিমাণে শুষ্ক করে তোলে ওষ্ঠাধরকে। তার চেয়ে হাতের কাছে লিপবাম রাখুন।
৫। ঠোঁটে গোলাপি আভা আনতে গোলাপের পাপড়িতে ভরসা রাখতে পারেন। গরম জলে শুকনো গোলাপের পাপড়ি ভিজিয়ে রাখুন। মিশ্রণটি ধীরে ধীরে ঠান্ডা হতে দিন। তার পর তুলো দিয়ে গোলাপের পাপড়ির মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগান।
৬। মোম, নারকেল তেল এবং শিয়া বাটারের মতো প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি লিপ বাম বেছে নিন। এগুলি আর্দ্রতা ধরে রাখতে, শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে।
৭। ঠোঁটে লালচে-গোলাপি রং পেতে বিট দিয়ে তৈরি লিপ বাম মাখুন। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং প্রদাহনাশী বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ এই লিপবাম ঠোঁটের জ্বালা ভাব দূর করে।