ত্বকের যত্নে গাঁদা ফুল দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন ক্রিম। ছবি: আনন্দবাজার অনলাইন
ছড়ে, কেটে গেলে কাউকে গাঁদাফুলের পাতা বেটে লাগিয়ে নিতে দেখে থাকবেন কোনও সময়ে। ঘরোয়া টোটকা হিসাবে এই পাতা ব্যবহার হয় বহু দিন ধরেই। তবে শুধু পাতা নয়, এই ফুলের গুণও অনেক।
ঘর সাজাতে, পুজোয় গাঁদার ব্যবহার হয়। মূলত শীতকালেই ফোটে এটি। শীত ফুরিয়ে বসন্ত এলেও এখনও পাওয়া যাচ্ছে টাটকা গাঁদা। তা দিয়ে সহজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন ক্রিম।
রূপচর্চায় গাঁদা
১. রোদে পোড়া কালচে ভাব দূর করার ক্ষমতা রাখে ফুলটি। এতে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েডস এবং ক্যারোটিনয়েডস-এর মতো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা ত্বক সুন্দর রাখার জন্য জরুরি।
২. আয়ুর্বেদে হলুদেরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। গাঁদার সঙ্গে হলুদ মেশালে ব্রণ, ফুস্কুড়ি বা ছোটখাটো সংক্রমণ এড়ানো যাবে।
৩. গাঁদা ফুলে রয়েছে অ্যান্টিসেপ্টিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। সে কারণেই কেটে গেলে গাঁদা পাতার ব্যবহারের চল তৈরি হয়েছে। সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে বাঁচাতেও সহায়ক গাঁদা।
কী ভাবে বানাবেন ক্রিম?
ক্রিম তৈরির জন্য টাটকা হলুদ গাঁদা প্রয়োজন। এক মুঠো ফুল ভাল করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। ফুলের সঙ্গে লেগে থাকা সবুজ বৃন্ত প্রথমেই বাদ দিতে হবে। ফুলের পাপড়ি ছাড়িয়ে তার সঙ্গে গোলাপজল দিয়ে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। পরিষ্কার কাপড়ের সাহায্যে মিশ্রণটি ছেঁকে নিন।
একটি পাত্রে ২ টেবিল চামচ অ্যালো ভেরা জেল, কয়েক ফোঁটা ভিটামিন ই এবং কাঠবাদামের তেল মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে গাঁদাফুলের ছেঁকে নেওয়া রসটি যোগ করে খুব ভাল করে ফেটিয়ে নিন। সমস্ত মিশ্রণ ক্রিমের মতো ঘন, মসৃণ হয়ে গেলে পরিষ্কার কাচের শিশিতে ভরে রাখুন। ত্বকের ধরন শুষ্ক হলে মুখের পাশাপাশি হাতে-পায়েও ক্রিমটি মাখতে পারেন।
কারও কারও অবশ্য ফুলে অ্যালার্জি থাকে। সে ক্ষেত্রে এই ক্রিম চলবে না। ক্রিম তৈরির পর হাতে মেখে কয়েক ঘণ্টা রেখে দেখুন কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না। সমস্যা না হলে তা মুখে মাখতে অসুবিধা নেই।