ঘি ক্রিম বানানোর পদ্ধতি। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
ভারতীয় হেঁশেলের মশলাপাতি, সব্জি, ফলমূলের মতো ঘি-ও কেবল স্বাস্থ্যরক্ষায় নয়, ত্বকের চর্চাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর বলে ময়েশ্চারাইজ় করার ক্ষমতা রয়েছে ঘিয়ের। পাতলা এক স্তর ঘি যদি সারা মুখে ও গলায় মেখে নিতে পারেন, তাতে হারিয়ে যাওয়া জেল্লা ফিরে পেতে পারেন। এমনকি বার্ধক্য রোধ করে তারুণ্য ধরে রাখার জন্য কার্যকরী হতে পারে এক চামচ ঘি। তবে সরাসরি শিশি থেকে নিয়ে মেখে নেওয়ার চেয়ে বাড়িতেই ঘি ক্রিম তৈরি করে নিলে বেশি উপকার মিলতে পারে বলে ধারণা চর্মরোগ চিকিৎসকদের।
ঘি ক্রিম বানানোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল, ঘি ধোয়া। প্রাচীন যুগে না কি এমন ভাবেই ধুয়ে নিয়ে তার পর রূপচর্চায় ব্যবহৃত হত ঘি। একটি তামার পাত্রে ১০০ বার ধুয়ে তৈরি করা হয় ঘি ক্রিম। এত বার ধোয়ার ফলে চিটচিটে ভাব কেটে যায় পুরোপুরি। হুইপ্ড ক্রিমের মতো গঠন তৈরি হয়। এই ঘি ক্রিম মুখে মাখলে তা ত্বকের গভীর স্তরে পৌঁছায়। এমন ভাবেই ময়েশ্চারাইজ়ার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে ঘি ক্রিম।
কিন্তু কী ভাবে ধোবেন এই ঘি?
স্টোভে বসিয়ে ঢিমে আঁচে রেখে ঘি গরম করতে থাকুন। ঘি তরল না হওয়া পর্যন্ত আগুন বন্ধ করা যাবে না। তার পর একটি তামার পাত্রে রাখুন এবং তাতে দু’কাপ ঠান্ডা জল মিশিয়ে দিন। এ বার অতিরিক্ত জল বার করে দেওয়ার জন্য একটি বৈদ্যুতিক ব্লেন্ডার বা স্প্যাটুলা দিয়ে নাড়াতে থাকুন। এই প্রক্রিয়াটি ১০০ বার করুন। শেষে যেটি তৈরি হবে, সেটি হালকা সাদা বলের মতো দেখতে। একটি বায়ু নিরোধক পাত্রে সংরক্ষণ করুন। ছ’মাস বা তার বেশি দিন পর্যন্ত টাটকা থাকবে এই ক্রিম।
সাধারণ ময়েশ্চারাইজ়ারের মতোই হাতে, পায়ে, মুখে, গায়ে মেখে নিতে পারেন। ত্বকের জলশূন্যতা, শুষ্কতা, রুক্ষতার সমস্যা দূর হয়ে কোমল, আর্দ্র, নরম ত্বক পেতে পারেন এই টোটকায়।